আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে ইরানের পক্ষ থেকে বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্ব থাকবে কিনা তা নিয়ে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেয়ার নীতি-অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ইরানি প্রতিনিধি বলেন, গজায় দখলদার সেনারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার রিপোর্ট তুলে ধরেন।
ইরানের এ প্রতিনিধি আশা করেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত তাদের স্বচ্ছ মতামত ও আদেশের মধ্য দিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের লাখ লাখ নিরপরাধ ও অসহায় নারী পুরুষ এবং শিশুকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রেজা নাজাফি বলেন, “আমরা মানব ইতিহাসের একটি টার্নিং পয়েন্টে অবস্থান করছি। এই আদালতের মতামত লাখ লাখ নিরপরাধ নারী-শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে এবং দশকের পর দশক ধরে বঞ্চিত ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জোরপূর্ব বেসামরিক নাগরিকদের উদ্বাস্তু করার পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে যুদ্ধ অপরাধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।” ইরানের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সেখানে জাতিসংঘের এই আদালতের পক্ষ থেকে গণভোটের আয়োজন করা হোক এবং এটিই ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ ও গণতান্ত্রিক উপায়।#
342/