ইয়েমেনে মার্কিন গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার যে পদক্ষেপ হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন নিয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসি’। পার্সটুডে জানিয়েছে, এই থিংক ট্যাংক তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, আনসারুল্লাহ আন্দোলনের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুল হাকিম আল-খিওয়ানি দাবি করেছেন যে, এই নেটওয়ার্ক প্রথম সানার মার্কিন দূতাবাসের বাইরে তৎপরতা চালাত। কিন্তু ২০১৫ সালে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ছদ্মাবরণে বিশেষ করে জাতিসংঘের ছদ্মাবরণে তার নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়ে যায়।
এই মার্কিন থিংক ট্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, যদিও ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলন এখনও একথা জানায়নি যে, ঠিক কতোজনকে আটক করা হয়েছে; তবে প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা যায়, আটক ১০ ব্যক্তি তাদের অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এই থিংক ট্যাংকের বিশেষজ্ঞ জনাথন শ্যাডো ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের অভিযোগগুলোর পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরাইলবিরোধী যে প্রতিরোধ ফ্রন্ট গঠিত হয়েছে তাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইয়েমেনের ওপর আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে।
উল্লেখ করা যায় যে, এই থিংক ট্যাংকের প্রতিবেদনে আনসারুল্লাহর হাতে ইয়েমেনে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ১৫ কর্মীকে আটকের পর ১০ জুনের আটকের ঘটনাকে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে।#
342/