গতকাল (শনিবার) রাতে বাশার আল আসাদ ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। এ ছাড়াও সিরিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ছিল সিরিয়া বিষয়ক সর্বশেষ কূটনৈতিক তৎপরতা।
এদিকে আরব লিগ বলেছে, সন্ত্রাসীদের আবির্ভাব ঘটাতে সিরিয়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সিরিয়ায় সন্ত্রাসী-তাকফিরি গোষ্ঠী পুনরায় মাথা-চাড়া দিয়ে ওঠায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল রাতে আরব লিগের এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়েছে। বিবৃতিতে সিরিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
গত বুধবার ভোরবেলায় কয়েকটি দেশের সহায়তা নিয়ে ও নতুন বিদেশী কর্মীদের নিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে।
আরব লিগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে: সিরিয়ার ঘটনাবলী এমন কিছু ঘটনার উৎস হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্য অশান্তি বা নৈরাজ্য যার অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আবারও তৎপরত হয়ে উঠতে পারে।
ওদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বলেছেন, তার দেশ মিত্রদের সহায়তা নিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দমন করবে। তিনি গতকাল (শনিবার) রাতে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বিন জায়িদ আন নাহিয়ানের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ও তাদের সহযোগী বা দোসরদের মোকাবেলায় সিরিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর সহায়তা নিয়ে সিরিয়া তীব্র সন্ত্রাসী হামলা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দমন করতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
আসাদ গতকাল ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ের বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোহাম্মাদ শিইয়া আসসুদানি এই সংলাপে বলেছেন, তার দেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়াকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
ইসলামী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ রোববার দামেস্ক যাবেন বলে কথা রয়েছে। দামেস্ক থেকে তিনি একই লক্ষ্যে আংকারায় যাবেন। আরাকচি সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে অনিরাপদ করার মার্কিন ও ইসরাইলি ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেন। তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক গতিবিধি পশ্চিম এশীয় অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইহুদিবাদী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ও মার্কিন সরকারি পরিকল্পনার অংশ।
ইসরাইলি দৈনিক মাআরিভ আরব-মার্কিন সম্পর্ক পরিষদের একজন বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, সিরিয়ার ঘটনার পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প, তুরস্ক ও ইসরাইল। ওই বিশেষজ্ঞ জানান, কয়েক মাস আগে এই হামলার প্রস্তুতি নেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছিল। #
342/