‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : IQNA
সোমবার

২ ডিসেম্বর ২০২৪

৬:৪৬:৪০ PM
1510437

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’

ইকনা- ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের বিশাল পতাকা নিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত কমর্সূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন দিবস উপলক্ষে গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, শহীদ মিনার হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।  

কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’; ‘টু জিরো টু ফোর, জেনোসাইড/চাইল্ড কিলিং/উইমেন কিলিং নো মোর’; ‘টু জিরো টু ফোর, জায়োনিজম/ওকুপেশন নো মোর’; জায়োনিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘কাশ্মীর থেকে ফিলিস্তিন, মুক্তি পাক মুক্তি পাক’, ‘হিন্দুত্ববাদ, মুজিববাদ—নিপাত যাক নিপাত যাক’ নানা স্লোগান দেন।


কর্মসূচির আয়োজক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, "ইসরাইল তার সমস্ত শক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনে যেভাবে গুলি চালানো হয় ঠিক একইভাবে আমাদের ওপরেও হাসিনা গুলি চালিয়েছিল। আমরা যখন জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, তখন প্যালেস্টাইনের মানুষের আকুতি আমাদের স্পিরিট হিসেবে কাজ করেছে। আজকের এই দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের মুক্তি চাই।"

ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর বলেন, ‘বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তো নিচ্ছেই না, উপরন্তু তারা কোনো সমবেদনাও দেখাচ্ছে না। এই অত্যাচার নিরসনে আমরা ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের পক্ষে আমাদের সংহতি জানাচ্ছি। অতি দ্রুত যেন ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে যেন ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হয়।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক এ দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। পার্সটুডে#

342/