‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Pars Today
বৃহস্পতিবার

২৩ মে ২০১৯

৭:১৬:৪৮ AM
943609

আজ বদর যুদ্ধ জয় ও 'আল্লাহর সিংহের' প্রথম আত্মপ্রকাশের ১৪৩৮তম বার্ষিকী

চন্দ্র বছরের হিসেবে ১৪৩৮ বছর আগে (খ্রিস্টীয় ৬২৪ সনের) এই দিনে (১৭ ই রমজান) মক্কার মুশরিকরা মুসলমানদের সঙ্গে তাদের প্রথম সুসংগঠিত যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল।

(ABNA24.com) চন্দ্র বছরের হিসেবে ১৪৩৮ বছর আগে (খ্রিস্টীয় ৬২৪ সনের) এই দিনে (১৭ ই রমজান) মক্কার মুশরিকরা মুসলমানদের সঙ্গে তাদের প্রথম সুসংগঠিত যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মদীনায় হিজরত করার পর তাঁর ওপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল মক্কার কাফের কুরাইশরা।

এ যুদ্ধে মুসলিম মুজাহিদদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। অন্যদিকে আগ্রাসী মুশরিক বাহিনীর সদস্য ছিল এক হাজারেরও বেশি। মহান আল্লাহর সহায়তায় ঐ যুদ্ধে মুজাহিদদের হাতে ৭০ জন কাফির বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এছাড়া  তাদের আরো ৭০ জন মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দি হয়।

অন্যদিকে মুসলিম বাহিনীর ১৪ জন শাহাদত বরণ করেন। মুসলমানদের পক্ষে এই যুদ্ধের প্রধান বীর ছিলেন আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.)। তিনি একাই ৩৬ জন কাফেরকে হত্যা করেছিলেন যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল নেতৃস্থানীয় কাফের সর্দার ও ততকালীন আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খ্যাতিমান যোদ্ধা। আলী (আ.) এই প্রথমবারের মত তরবারির যুদ্ধে তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ পান।

বহু বছর পরে মুয়াবিয়া হযরত আলী (আ.)'র খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে এক চিঠিতে আমিরুল মু'মিনিন তাকে সতর্ক করে দিয়ে লিখেছিলেন, “যে তরবারি দিয়ে আমি তোমার নানা (উতবা), তোমার মামা (ওয়ালিদ) ও ভাই হানজালার ওপর আঘাত হেনেছিলাম (তথা তাদের হত্যা করেছিলাম) সে তরবারি এখনও আমার কাছে আছে।”

শেরে খোদা বা 'আল্লাহর সিংহ' নামে খ্যাত হযরত আলী (আ.) ছিলেন বিশ্বনবী (সা.)'র চাচাতো ভাই, জামাতা ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শীর্ষ সদস্য। ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক যুদ্ধগুলোর বেশিরভাগেরই জয়ের মূল স্থপতি ছিলেন এই মাসুম ইমাম ও খলিফা। তিনি ও বিশ্বনবী (সা.)'র স্ত্রী উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা) প্রায় একই সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী হিসেবে ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম মুসলমান। আলী (আ.)'র বয়স ছিল সে সময় মাত্র দশ বছর।

বলা হয়ে থাকে বিশ্বনবী (সা.)'র চারিত্রিক সুষমা ও মহানুভবতা, আলী (আ.)'র তরবারি এবং ইসলামের পথে খাদিজা (সা.আ.)'র অঢেল সম্পদ দান ছাড়া ইসলাম কখনও এতটা বিকশিত হতে পারত না।

বিশ্বনবী (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে জুলফিকার নামের নিজের একটি তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। এই তরবারির অগ্রভাগ ছিল দুই শাখা-বিশিষ্ট।

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতে এসেছে:

“খায়বার জয়ী আলী হায়দার জাগো জাগে আরবার

দাও দুশমন-দুর্গ-বিদারী দ্বিধারী জুলফিকার জাগো জাগো আরবার। .. ...

বদর যুদ্ধ ইসলামের স্মরণীয় যুদ্ধগুলোর অন্যতম। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবিরা মুসলমানদের কাছে পরবর্তীকালে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিলেন।#




/129