১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৬:৩০
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নাম মুছে দিতে চায় নেতানিয়াহু?

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অঙ্গীকার করেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে কিছু থাকবে না।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি ইসরায়েল। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অঙ্গীকার করেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে কিছু থাকবে না।



গত কয়েক মাসে পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

চলতি মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওই সিদ্ধান্তকে আনুষ্ঠানিকতা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ফ্রান্স, কানাডা, মাল্টা, বেলজিয়াম ও ব্রিটেন। আরো কয়েকটি দেশ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে।

স্বভাবতই, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির উদ্যোগে 'তেলে বেগুনে' জ্বলে উঠেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের নেতারা। সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এ ধরনের উদ্যোগের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব থাকবে না

অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি নতুন ও বড় আকারের বসতি স্থাপন প্রকল্পের চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে এই অঙ্গীকার করেন বিশ্বজুড়ে নিন্দিত নেতা নেতানিয়াহু।

জেরুসালেমের ঠিক পূর্বে অবস্থিত ইসরায়েলি অবৈধ বসতি মাআলে আদুমিমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করব। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। ওই জায়গাটি আমাদের জন্য নির্ধারিত।'

পশ্চীম তীরে ইসরায়েলি সেনা ১৬টি ফিলিস্তিনি দোকান ভেঙে দেয়। ছবি: এএফপি
পশ্চীম তীরে ইসরায়েলি সেনা ১৬টি ফিলিস্তিনি দোকান ভেঙে দেয়। 

'আমরা আমাদের উত্তরাধিকার, আমাদের ভূখণ্ড ও আমাদের নিরাপত্তাকে সমুন্নত রাখব। আমরা এই নগরীর জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব', যোগ করেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ওই অনুষ্ঠানটি লাইভে সম্প্রচার করা হয়।

পশ্চিম তীরের ই১ প্রকল্প

অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রায় অর্ধেক অংশকে পাকাপাকিভাবে নিজ ভূখণ্ডের অংশ করে নিতে চায় ইসরায়েল। দীর্ঘদিন ধরে এটি 'ইসরায়েলিদের উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন' হিসেবে বিবেচিত।

ই১ নামে পরিচিত ১২ বর্গকিলোমিটার (পাঁচ বর্গমাইল) দীর্ঘ ওই জায়গাটিতে অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই চূড়ান্ত করা। তবে এতদিন আন্তর্জাতিক মহলের বিরোধিতার মুখে সেটি আলোর মুখ দেখেনি।

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের ই১ প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের ই১ প্রকল্প। 

ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটির অবস্থান জেরুসালেম ও ইসরায়েলি অবৈধ বসতি (সেটেলমেন্ট) মালে আদুমিমের মাঝে। এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী অংশের খুব কাছাকাছি। 

গত মাসে ওই 'অত্যন্ত সংবেদনশীল' ভূখণ্ডে তিন হাজার ৩০০ বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনায় সমর্থন জানান ইসরায়েলি কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ। 

এর বাস্তবায়ন হলে পশ্চিম তীর কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে এবং একটি ভাগ স্থায়ীভাবে ইসরায়েলের অংশ হবে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha