১ অক্টোবর ২০২৫ - ১২:৪৬
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ‘শাটডাউন’-এর মুখে ।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার তহবিলের জোগাড়ের জন্য উত্থাপিত অন্তর্বর্তী 'ফান্ডিং বিল' নিয়ে একমত হতে পারেননি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আজ বুধবার জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়।


শাটডাউন হলে ফেডারেল (কেন্দ্রীয়) সরকারের হাজারো কর্মচারী কাজ হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কাজ থাকলেও তারা বেতন পাবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।

সামাজিক সুরক্ষার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়, তা আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। দেশটির গণ পরিবহণ সংস্থা ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মচারীদের উপর।

শাটডাউনের প্রভাব অতি জরুরি খাত ছাড়া প্রায় সব খাতের ওপর পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে নাসা, সীমান্ত সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, 'বহু মানুষের ওপর এই শাটডাউনের ভয়াবহ প্রভাব পড়তে চলেছে। তবে তার অধিকাংশই হলো ডেমোক্র্যাট।'

ট্রাম্প সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্যাটরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সিনেটে ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্যরা সংখ্যালঘু। কিন্তু ফেডারেল গভর্নমেন্ট ফান্ডিং বিল পাশ করানোর জন্য যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন, সেটাও এককভাবে রিপাবলিকানদের হাতে নেই। যার ফলে এই অচলাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য নেওয়া ছাড়া ট্রাম্পের হাতে কোনো বিকল্প নেই।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যখাতে বাড়তি কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই উদ্যোগে সরাসরি উপকার পেতেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা তা মানতে রাজি হয়নি। আর তার জেরেই সিনেটে অচলাবস্থা তৈরি হয়।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি, তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। রিপাবলিকানদের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাটরা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শাটডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে, তা এখনো অস্পষ্ট।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha