১৫ নভেম্বর ২০২৫ - ১৪:২৯
ইসরায়েলি হামলায় অঙ্গ হারিয়েছে অন্তত ছয় হাজার ফিলিস্তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও থেমে নেই ইসরাইলি হামলা। প্রতিদিনই বোমা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): যুদ্ধ শুরুর দুই বছর পর এ পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু। তবে অঙ্গহানি হয়েছে কমপক্ষে ছয় হাজার ফিলিস্তিনির, যার মধ্যে ২৫ শতাংশই শিশু। আর ১২ দশমিক ৭ শতাংশ নারী। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বাধার কারণে চিকিৎসা সরবরাহ এবং সহায়ক সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি থাকায় আহত ও অঙ্গহীন হওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, এই পরিসংখ্যানগুলো গাজায় হাজারো আহত মানুষ এবং তাদের পরিবারের গভীর মানবিক যন্ত্রণাকেই সামনে তুলে ধরে। এমন অবস্থায় আহতদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ করে শৈশবেই স্থায়ীভাবে অঙ্গহানি হওয়া শিশুদের জন্য জরুরি মানসিক ও সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জন। অনেকেই ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির নিচে আটকা পড়েছেন অথবা নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার আওতায় ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজার এক হাজার ৫০০টিরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

মূলত যেসব এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে ছিল, সেসব এলাকার বাড়িঘর সবকিছুই এখন ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ সংক্রান্ত একাধিক স্যাটেলাইট ইমেজ যাচাইয়ের পর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

গত ৮ নভেম্বর স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবি বিবিসির হাতে আসে। সেসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গাজার যেসব এলাকা আইডিএফের নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও অক্ষত ছিল তা এই এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা ঘরবাড়ির সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। 

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha