আহলুল বাইত নিউজ এজেন্সি (আ.)-আবনা: : হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.) ইমামের কন্যা হওয়া ছাড়াও, তিনি ইমামের বোন, ইমামের ফুপি এবং একজন মুহাদ্দিসাহ, অর্থাৎ তিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
আর হাদিসের এই বর্ণনাটি ইমাম সাদিক (আ.) এবং অন্যান্য ইমামদের বর্ণনায় অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি। হাদিস বর্ণনাকারী; সম্পর্কে ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণীত হাদিসে বলা হয়েছে:
«الرَّاوِيَةُ لِحَدِيثِنَا يَشُدُّ بِهِ قُلُوبَ شِيعَتِنَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ»
যে ব্যক্তি আমাদের হাদিস বর্ণনা করে এবং আমাদের অনুসারীদের হৃদয়কে শক্তিশালী করে, তার এই কাজ হাজার ইবাদতের চেয়েও উত্তম। আল-কাফি (দারুল হাদীস), খণ্ড ১, পৃ. ৭৯।
হযরত মাসুমা (সা.আ.)-কে আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর কন্যা, হযরত আলী (আ.)-এর কন্যা, হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর কন্যা, ইমাম হাসান এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কন্যা হিসেবে তার যিয়ারতনামাতে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে আল্লাহর হুজ্জাতের কন্যা অর্থাৎ তার পিতা ইমাম মুসা কাযিম (আ.), বোন অর্থাৎ তার সম্মানীয় ভাই ইমাম রেযা (আ.) এবং ফুপি অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ. ফা.) আল্লাহর শেষ হুজ্জাতের কাথা বলা হয়েছে। এই গুণাবলী এককভাবে নয়, বরং ইমাম রেজা (সা.)-এর দ্বারা সকল দিক থেকেই এই মহিয়সী নারীর পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হযরত মাসুমা (সা.আ.) নবী পরিবারের হাদিস বর্ণণাকারী হিসেবে পরিচিত এবংহযরত মাসুমার থেকে উল্লেখিত সাতটি গাদীর সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস এবং হযরত আলী (আ.)-এর অভিভাবকত্বের সাথে সম্পর্কিত।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) কোম শহরে হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর যিয়ারত প্রসঙ্গে বলেন:
مَنْ زارَ قَبْرَ عَمَّتی بِقُمّ فَلَهُ الجَنَّه؛
“যে ব্যক্তি কোম শহরে আমার ফুপিকে (হযরত মাসুমা) যিয়ারত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” ”
"কামিলুয যিয়ারাত" , পৃ. 973; উয়নুল আখবার" খন্ড- 2, পৃ. 271; "ওয়াসায়েলুশ শিয়া" খন্ড- 14, পৃ. 576।
Your Comment