আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনার মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আইনজীবীরা এ বিষয়ে সতর্ক করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে গত বছর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিল।
এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আগে প্রকাশিত হয়নি। এই গোয়েন্দা তথ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তারা যুদ্ধ চলাকালে দেশটির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্যের মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ভেতরেই তাদের কৌশলের বৈধতা নিয়ে যে সন্দেহ ছিল, তা তুলে ধরা হয়।
দুই সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিক পর্যন্ত সরকারের ভেতরে এসব তথ্য তেমন জানাজানি হয়নি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কংগ্রেসনাল ব্রিফিংয়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এই গোয়েন্দা তথ্যের পর ওয়াশিংটনের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। ইসরায়েলের দাবি, বেসামরিক অবকাঠামোর মধ্যে অবস্থান করা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূলের জন্য তারা হামলা চালাচ্ছে।
তবে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ ছিল, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোক ও ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ। যদিও ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে যখন গাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাঁরা বলেন, এতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের আন্তর্জাতিক আইনি মানদণ্ড লঙ্ঘন হতে পারে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার আগেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কয়েকজন আইনজীবী বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আইনজীবীরা এক সভায় ব্লিঙ্কেনকে বলেছিলেন, তাঁদের বিশ্বাস, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন ও সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য হতে পারে।
Your Comment