আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পাকিস্তানের বেলুচিস্তান রাজ্যের বুলান অঞ্চলের মুছি এলাকার শহীদদের পরিবারের সদস্যরা বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহিল উজমা মাকারেম শিরাজির আহবানে অনশন ভঙ্গ এবং লাশ দাফনে সম্মতি দেয়।
শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মারজাগণের আহবান আমাদের জন্য হুকুম ও নির্দেশ স্বরূপ’। এ আহবানের মধ্য দিয়ে গত ৬ দিনের অনশন শেষ হল।
সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সাথে বারবার আলোচনা করেও তাদেরকে রাজি করাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু বিশিষ্ট মারজা (ধর্মীয় নেতা) আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজির শোকবার্তা প্রেরণের পর সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটে।
* মারজাইয়্যাতের প্রভাব ও ক্ষমতা
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে সোচ্চার ব্যক্তিরা অনেকে ‘কুদরত-এ মারজাইয়্যাত’ শিরোনামে প্রকাশ করা বার্তায় লিখেছেন: ‘আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজির একটি বার্তা পাকিস্তানকে বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে’।
* কি ঘটেছিল মুছিতে?
গত রোববার ৩ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান রাজ্যের বুলান অঞ্চলের অদূরে মুছি এলাকা থেকে হতভাগ্য ১১ খনি শ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। আগের রাতে তাদেরকে চরম নৃশংসভাবে হত্যা করে দায়েশ সন্ত্রাসীরা।
ঐদিনই দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। দায়েশ সন্ত্রাসীরা খনি শ্রমিকদের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় শিয়া শ্রমিকদেরকে পৃথক করে তাদের হাত-পা বেধে ফেলে। অতঃপর তাদেরকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
বেলুচিস্তান থেকে পাঠানো আবনা প্রতিবেদকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১১ জনের সকলেই হাজারা সম্প্রদায়ের এবং শিয়া মাযহাবের অনুসারী।
গত রোববার থেকে শহীদদের পরিবারের সদস্যরা শহীদদের লাশ নিয়ে কোয়েটা শহরে অনশন শুরু করে। সরকারি প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বারবার চেষ্টা করেও শহীদদের লাশ দাফনে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে রাজি করাতে ব্যর্থ হন।#176