‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
সোমবার

৩০ জানুয়ারী ২০২৩

৪:৩২:৫৬ PM
1342349

আল কুদসে সংঘটিত হতে পারে ইন্তিফাদা: উদ্বিগ্ন ইসরাইলি গণমাধ্যম ও সামরিক বিশ্লেষকরা

সোমবার সকালে সংবাদ সূত্র জানিয়েছে যে অধিকৃত জেরুজালেম আল কুদসে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সৈন্য এবং ফিলিস্তিনি যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

অধিকৃত জেরুজালেমের ‘জাবাল আল-মাকবার’ এলাকায় ইহুদিবাদী সেনা ও ফিলিস্তিনি যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী সেনারা কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ এবং গুলি করে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে। এ সময় দুই পক্ষের তীব্র সংঘর্ষে  পাথরের আঘাতে একজন জায়নবাদী সেনা আহত হয়েছেন।

ইহুদিবাদী বাহিনী এই এলাকায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে "জাবাল আল-মুকবার" শহরে হামলা চালানোর পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক ফিলিস্তিনি শহীদ পরিবারের সমর্থনে মূলত এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল। সম্প্রতি অধিকৃত ভূখণ্ডে বিশেষ করে কুদসে শাহাদাৎ পিয়াসী ফিলিস্তিনিদের দুটি অভিযানে ৯ ইহুদিবাদী নিহত এবং ১৪ জন আহত হওয়ার পর এই শহরে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে।

গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে জেনিন ক্যাম্পে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর ব্যাপক ভিত্তিক আগ্রাসনে ৯ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ২০ জন আহত হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা তীব্র প্রতিরোধকামী হয়ে উঠার মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে সেখানে নতুন করে ইন্তিফাদার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইহুদিবাদী মিডিয়া এবং ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ বিষয়ে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

ইয়েদিওট আহারোনট সংবাদপত্রের সামরিক বিশ্লেষক রন বেন ইশাইয়ের মতে, গত দুই দিনের জেনিন এবং কুদসের ঘটনা যা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সংঘটিত ঘটনার চেয়ে তুলনামূলকভাবে তীব্র সহিংসতা ছিল তা সত্যিকারের ইন্তিফাদাতে পরিণত করতে পারে। কারণ এসব সহিংস ঘটনায় বিপুল সংখ্যক ইহুদি এবং প্রতিরোধকামী ফিলিস্তিনি অংশ গ্রহণ করে।  এর উপর ভিত্তি করে মা'আরিভ সংবাদপত্র ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারকে দ্রুত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে লিখেছে: "জেরুজালেমে একজন ফিলিস্তিনির বড় ধরনের অপারেশনে ৯ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী নিহত হওয়ার পর এর পাল্টা হামলায় জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় যার ফলে ১০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে এই অভিযানটিই সবচেয়ে বড় অভিযান। সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা। এমনকি এখন ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা হলেও সামনের দিনগুলোতে বিশেষ করে রমজান মাসে উত্তেজনা বাড়বে বলেও সংবাদপত্রটি হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।

যাইহোক জেনিন শিবিরে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর বড় আকারের আগ্রাসন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামীদের রকেট হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের তিনটি স্বতন্ত্র সশস্ত্র অভিযানের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল।#

342/