‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

১৫ মার্চ ২০২৩

৭:২৮:১৩ PM
1352427

ইসরাইলি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ঘোষণার শামিল: হামাস

২০০৫ সালে অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের যেসব এলাকা থেকে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা সরে গিয়েছিল তাদেরকে আবার সেসব এলাকায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইলি পার্লামেন্ট- নেসেটে একটি বিল পাস করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ওই বিলের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই বিল বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয়া হবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ঘোষণার নামান্তর।

হামাস গতকাল (মঙ্গলবার) গাজা উপত্যকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূমিকে ইহুদিকরণ করার লক্ষ্যে এই বিল পাস করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি তরুণ সমাজ ইসরাইলের এই উদ্যোগ আরো কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পার্লামেন্ট পাস হওয়া এই বিলের বাস্তবায়ন প্রতিহত করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) ইসরাইলি পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিলে পশ্চিম তীরের উত্তর অংশে বসবাস করার ওপর তেল আবিবই যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।এর ফলে এখন ওই এলাকার অবৈধ ইহুদি বসতি হোমেশ, গানিম, কাদিম ও সানুরে ইসরাইলি অভিবাসীরা আবার বসবাস করা শুরু করতে পারবে। লিকুদ পার্টির একজন এমপির উত্থাপিত এ সংক্রান্ত বিলের পক্ষে নেসেটে ৪০ ভোট এবং বিপক্ষে ১৭ ভোট পড়ে।

২০০৫ সালে তৎকালীন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের শাসনামলে একটি আইন পাস করা হয় যার ভিত্তিতে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের উত্তর অংশ থেকে সকল ইসরাইলি অভিবাসীকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই আইনের ভিত্তিতে গাজার ২১টি এবং পশ্চিম তীরের চারটি অবৈধ বসতি গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।

এর জের ধরে গাজার ২১টি বসতি ভেঙে ফেলার পাশাপাশি সেখান থেকে আট হাজার ইহুদি অভিবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু পশ্চিম তীরের চারটি বসতি থেকে ইহুদিদের সরিয়ে নেয়া হলেও বসতিগুলো অক্ষত রেখে সেগুলোকে এতদিন সামরিক পাহারায় রেখেছিল তেল আবিব।#

342/