‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
বৃহস্পতিবার

৯ নভেম্বর ২০২৩

৬:০২:৪৪ PM
1410161

বৈরুতে “তুফানুল আকসা; হক ও বাতিলের যুদ্ধ” শীর্ষক বৈঠক অনুষ্ঠিত / ইহুদিবাদী সরকার কোন প্রতিশ্রুতিতে অটল নয় : আয়াতুল্লাহ আখতারি

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সুপ্রিম কাউন্সিলের সভাপতি বলেন: আজকে, ইহুদিবাদী সরকার কর্তৃক সকল হত্যাযজ্ঞের পর, সুস্পষ্ট হয়েছে যে, এই ক্যান্সারযুক্ত গ্রন্থি কখনই কোন প্রতিশ্রুতিতে অটল নয়, এবং এই পবিত্র ভূমিকে তার প্রকৃত মালিকদের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থিত ইমাম খোমেনি (রহ.) সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক “তুফানুল আকসা; হক ও বাতিলের যুদ্ধ” শীর্ষক  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত বৈঠকে আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সুপ্রিম কাউন্সিলের সভাপতি, লেবাননে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত, লেবানন হিজবুল্লাহ'র প্রতিনিধি, ফিলিস্তিনি হামাসের প্রতিনিধি, ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদের প্রতিনিধিসহ খ্রিষ্টান ও মুসলিম বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সুপ্রিম কাউন্সিলের সভাপতি আয়াতুল্লাহ আখতারি, ফিলিস্তিনের দীর্ঘ ৭৫ বছরের আন্দোলন এবং সম্প্রতি তুফানুল আকসা অভিযানের তাদের প্রতিরোধ কৌশলের যথার্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইহুদিবাদী সরকার মাকড়সার জালের চেয়েও দুর্বল। তিনি তুফানুল আকসা অভিযানে হিজবুল্লাহ'র সাহসী অবস্থানের জন্য সাধুবাদ জানান। এছাড়া, ৪ নভেম্বর ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর ইরাকে নির্বাসনের বার্ষিকী স্মরণে বলেন, সাম্রাজ্যবাদীরা ইমাম খোমেনি (রহ.) ও ইরানের জনগণকে বিপ্লবী চিন্তাধারা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র তাদের নিজেদের জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নাজাফে ইমাম খোমেনি (রহ.) একজন বৈশ্বিক নেতায় পরিবর্তিত হন। তার চিন্তাধারা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তিনি বিজয়ীর বেশে ইরানে প্রত্যাবর্তন করেন এবং আজকের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান গঠন করেন। বর্তমান সময়ে যেসকল প্রতিরোধ আন্দোলন আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, তা ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর অর্জনসমূহের মধ্যে অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, এ বৈঠক থেকে আমরা আমেরিকা, ইহুদিবাদী সরকার এবং কতিপয় আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়াশীল দেশকে এই বার্তা দিতে চাই যে, তারা যেন অবশ্যই তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। এখনকার অবস্থা ১৯৪৮ সালের মতো নয়। এখন ফিলিস্তিনিরা শক্তিশালী এবং তারা সকলেই ইহুদিবাদী সরকারের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

তিনি উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা এবং ইহুদিবাদী সরকারকে ধ্বংস করার পথে লেবানন অনেক সহযোগিতা করেছে। ইয়েমেনে এবং ইরাকও আজ প্রতিরোধে অংশ নিয়েছে। আমি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশগুলিকে আহবান জানাই, যেন মুসলিম যুবকদেরকে ফিলিস্তিনে গিয়ে সাহায্য করতে অনুমতি দেয়; যা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আজ ফিলিস্তিনের জনগণের নানাবিধ সহযোগিতার প্রয়োজন।

বৈঠকে হিজবুল্লাহ’র ডেপুটি মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম নাঈম কাসেম বলেন, ফিলিস্তিন এত ত্যাগ সত্ত্বেও পরাজিত হয়নি। ফিলিস্তিন ইস্যু একটি বাস্তবতা। যারা ফিলিস্তিনের সাথে রয়েছে, তারা হকের সাথে রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যু হল একটি ভূখণ্ডকে তার প্রকৃত মালিকের নিকট পৌঁছে দেয়ার আন্দোলন। ইহুদিবাদী সরকার একটি অবৈধ সরকার, যা মূলতঃ এই অঞ্চলকে ধ্বংস করে, এর সম্পদকে পশ্চিমাদের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে উপনিবেশবাদীদের সৃষ্ট একটি সরকার।

তিনি আরও বলেন, তুফানুল আকসা অভিযান ইহুদিবাদী সরকারের পতনের সূচনা। এই অভিযান ইহুদিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে। গাজায় ইহুদিবাদী সরকারের একের পর এক অপরাধ-যজ্ঞ, হাসপাতালগুলিতে হামলা, ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের উদ্দেশ্যে আরও বেশি দৃঢ় করবে। তারা কখনই হামলার ভয় পায় না, বরং তাদেরকে লক্ষ্যে পৌছাতে আরও কৌশলী করে।

তিনি বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যুদ্ধ বিস্তার রোধে এখনি যুদ্ধ বন্ধ কর। আমাদেরকে যুদ্ধ বিস্তারে বাধ্য করোনা। তোমাদের আগ্রাসনে যুদ্ধের বিস্তার ঘটবে। হিজবুল্লাহ’র প্রতি তোমাদের হস্তক্ষেপ না করার আহবান মূলতঃ ফিলিস্তিনকে নিঃসঙ্গ করার আহবান। আমরা যতদিন ময়দানে আছি এমনটি কখনোই ঘটবে না। আমেরিকা শুধু গাজার যুদ্ধে অংশই নেয়নি বরং তারা এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে। নেতানিয়াহুর দাবি তারা হামাসকে শেষ করতে চায় আর আমেরিকার বলে, এখন যুদ্ধবিরতির সময় না, কেননা হামাস লাভবান হবে। এ থেকে বুঝা যায় আমেরিকা হত্যাযজ্ঞের পথ বেছে নিয়েছে। আমেরিকা ও পশ্চিমারা এখন নৈতিকতা, অনুশাসন ও রাজনৈতিকভাবে নিশ্চুপ। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নারী ও শিশু অধিকারের নামে তাদের মিথ্যা শ্লোগানের পর্দা ফাঁস হয়ে গেছে। এটি তুফানুল আকসা অভিযানের অন্যতম অর্জন। ইমাম খোমেনি (রহ.) বলেছেন, ইহুদিবাদী সরকার একটি ক্যান্সারযুক্ত গ্রন্থি, অবশ্যই যাকে ধ্বংস করতে হবে। সর্বোচ্চ নেতা ফিলিস্তিন ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা দেখছি, শিয়া ও সুন্নি উভয়ই ময়দানে একত্রিত হয়েছে এবং প্রতীয়মান যে, কুদস পারে তাদেরকে একত্রিত করতে।

তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পথের যুদ্ধে একটি অংশ মাত্র। ইহুদিবাদী সরকার ফিলিস্তিন দখল করে এই অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অভিযানের একটি অংশ, যাদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য জেরুজালেমের মুক্তি। আমরা যথাসময়ে যেকোনো মূল্য দিতে রাজি আছি।

লেবাননের কার্ডিনাল প্রতিনিধি ম্যারোনাইট খ্রিস্টানদের নেতা "বাশারা পেট্রেস আল-রাই" ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি ভূমিতে যুদ্ধের নিন্দা জানাই, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে হামলা, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিক, নারী, শিশু, মসজিদ ও গির্জায় হামলা মানবতাবিরোধী এবং এই হামলার বিরুদ্ধে চুপ থাকাও অপরাধ। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে মানবিক সাহায্য পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই হক তার প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে আসুক।

বৈঠকে হামাসের লেবানন প্রতিনিধি উসামা হামদান বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের সমর্থন মূলতঃ ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর চিন্তাধারার বাস্তবায়ন, যা বর্তমান সর্বোচ্চ নেতাও অব্যাহত রেখেছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুটি মূলতঃ ইসলামী উম্মাহর ইস্যু, যা এই উম্মাহকে ঐক্যের সুযোগ করে দিয়েছে, যাতে তারা সঠিক পথে ফিরে আসে এবং বুঝতে পারে যে, এই উম্মাহর ভবিষ্যৎ শুধুমাত্র তার সন্তানদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী শত্রু এবং আমেরিকান সরকার সম্পর্কে না জেনে আমরা তুফানুল আকসা অভিযান শুরু করিনি। ফিলিস্তিনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধাপরাধ আমাদের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারবে না, বরং তা আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি আরও বলেন: প্রতিরোধ যোদ্ধারা আমাদের পাশে রয়েছেন। ইহুদিবাদী শত্রুর সাথে যুদ্ধে লেবাননের প্রতিরোধী যোদ্ধাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন। আমরা লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানসহ সকল সমর্থকদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, প্রতিরোধ যোদ্ধারা পূর্ণ শক্তি দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করবে। আমি বিশ্বাস করি যে শত্রুর অপরাধযজ্ঞ, তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। বিজয় আল্লাহর এবং আল্লাহ তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই যুদ্ধে ইসলামী উম্মাহর বিজয় হবে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতি গুরুত্বারোপ করে লেবাননে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মুজতবা আমানি বলেন, গাজার বিরুদ্ধে এই বর্বর যুদ্ধ বন্ধ করাতে হবে। গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব সফরে বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় এই বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন। আমেরিকা ও ইসরাইল আজ হামাসকে ধ্বংসের কথা বলছে, অথচ এই প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা অসম্ভব। এর আগেও ইহুদিবাদী সরকার বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এবং এবারও তাই ঘটবে।

বিশ্ব প্রতিরোধ উলামা সংগঠনের সভাপতি শেখ মাহের হাম্মুদ বলেন, গাজায় প্রায় এক মাস ধরে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। এই পরিমাণ বেসামরিক হত্যা নজিরবিহীন। বিশ্ব এই অপরাধের সামনে নীরব দাঁড়িয়ে আছে এই অপরাধযজ্ঞের বৈধতা দিচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ প্রশংসনীয়।

লেবাননে শিয়াদের ইসলামিক অ্যাসেম্বলির সহসভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম আলী খতিব বলেন, এক সময় আমরা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান দখল প্রত্যক্ষ করেছি। পরবর্তীতে দেখা যায়, এটি কোন ধর্মীয় ইস্যু ছিলনা বরং ছিল ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এক দশক আগে আমরা সিরিয়ার সরকারকে উৎখাত করার বিষয়ে কিছু ধর্মীয় আলেমদের অবস্থান দেখেছিলাম, পরে প্রকাশিত হয়, এটি ছিল প্রতিরোধ আন্দোলনে সমর্থনের পথ বন্ধ করার একটি প্রকল্প। ফিলিস্তিন ইস্যুকেও এখন ধর্মীয় শিরোনাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ধর্মীয় দায়িত্বশীলদের উচিত যে কোন পরিস্থিতিতে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ইসলামিক স্কলারদের একটি সংগঠন তৈরি করা হোক এবং ইহুদিবাদী সরকারের সমর্থনকারী কোম্পানির সাথে যেকোনো লেনদেন বয়কট করার চেষ্টা করা হোক, যাতে ধর্ম আর উপনিবেশকারীদের হাতিয়ার না হতে পারে।

 

লেবাননের দ্রুজ সম্প্রদায়ের শেইখ সামি আবিল মুনা বলেন, গাজা আজ আরবদের সম্মানের মুকুট এবং তারা সমগ্র বিশ্বকে প্রতিরোধ ও ত্যাগের শিক্ষা দান করছে। তুফানুল আকসা অভিযান পবিত্র স্থান ও ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে একের পর এক আগ্রাসনের ফল। যখন ইহুদিবাদী শাসকের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব নীরব ছিল। আমরা ফিলিস্তিনি জাতির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং আরব ও ইসলামী সরকারগুলোকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করতে আহবান জানাচ্ছি।

লেবাননে ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদের প্রতিনিধি ইহসান আতাইয়া বলেন, আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি, এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতি এবং এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ। ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে আমরা ইরানী ভাইদেরকে আমাদের অংশ বলে মনে করি এবং তারা এক মুহূর্তও আমাদের সমর্থন ছেড়ে দেয়নি। ইরান সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা ২০০৬ সালে একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্য আঁকতে চেয়েছিল। কিন্তু তাম্মুজ যুদ্ধে লেবাননের প্রতিরোধে তাদের এই পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়। সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরাকেও আমেরিকার এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ফিলিস্তিনও একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্য মানচিত্র তৈরি করতে পারে। ইহুদিবাদী শত্রু হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা এবং আবাসিক বাড়িতে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে, তারা ফিলিস্তিনিদেরকে পুনরায় দেশত্যাগে বাধ্য করার জন্য নারী, শিশু ও বেসামরিক জনগণের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা জেগে উঠেছে। নিশ্চয় ইহুদিবাদী বাহিনী পরাজিত হবে। গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, আমরা শুধুমাত্র মানবাধিকার কর্মী, নারী ও শিশুদের গণহত্যা বন্ধ করতে বলেছি। যেসব দেশ এই অপরাধের ব্যাপারে নীরব, তারাও ইহুদিবাদী সরকারের হত্যাযজ্ঞে অংশীদার। গাজায় ফিলিস্তিনিদের রক্তে বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে এবং ঔপনিবেশিকদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।#176A