‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

৪ এপ্রিল ২০২৪

১:৫৩:৫৩ PM
1449009

শুক্রবার বিশ্ব কদস দিবসে স্বাধীনতাকামী এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাল ইরান

ইসলামি প্রজতান্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসন্ন আন্তর্জাতিক কুদস দিবস উপলক্ষ্যে ক্যানসার সমতুল্য এবং আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নসৃষ্টিকারী ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মোকাবেলার জন্য সকল মুসলিম সরকার এবং জাতি, বিশ্বের স্বাধীনতাকামী কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে মজলুম ফিলিস্তিনি জাতি বিশেষ করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের জন্য সব ধরনের সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে ইরান।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ঐতিহাসিক উদ্যোগের বার্ষিকী উপলক্ষে যেখানে পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে  তা এখন ফিলিস্তিনিদের এবং পবিত্র কুদস শরীফের স্বাধীনতা রক্ষায় সারা বিশ্বের সকল জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

গত ছয় মাস ধরে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদীদের অপরাধ শুরুর দুইশত বার্ষিকীর প্রাক্কালে ফিলিস্তিন এবং এর সভ্য ও নিপীড়িত জনগণের অবস্থা আজ মানবতার জন্য এক বিরাট ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী গাজা উপত্যকায় এখনো ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে; পোড়া মাটির নীতি অনুসরণ করে  দখলদার, বর্ণবাদী এবং সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার শিশু, নিরীহ নর-নারী হত্যা এবং সেখানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবাসিক বাড়িঘর, অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এবং গীর্জা ধ্বংস করে গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ ধ্বংস, মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধার দিকে ঠেলে দেয়া অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্বের মুসলমানদের প্রথম কিবলা হিসেবে আল-আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং পবিত্র রমজান মাসের উজ্জ্বল দিনগুলিতে এই পবিত্র স্থানের আঙ্গিনায় সম্মাণিত মুসল্লীদের বেধড়ক পেটানো এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এবং তাদিতে ইহুদিবাদীদের ভয়ঙ্কর ও লজ্জাজনক অপরাধের ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ  এবং ফিলিস্তিনি নারী ও বন্দীদের প্রতি অসম্মান শুধুমাত্র গাজা উপত্যকাই নয়, কয়েক মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নাগরিকের জন্য ছাদবিহীন কারাগারে রূপান্তরিত হওয়া সমগ্র ফিলিস্তিনি ভূমি মানবতার জন্য একটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে এবং সেখানে মানবতার বিবেকের কবরস্থান রচনা করেছে।

এই বিবৃতিতে পশ্চিমা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে: নিঃসন্দেহে এই শাসক গোষ্ঠীর সমর্থকদের কপালে এইসব বড় অপরাধের লজ্জা চিরকাল থাকবে এবং সেই শাসকদের মাথাতেই থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা সরকারগুলো যারা কেবল এই নিষ্ঠুরতা ঘটাতে বাধা তো দেয়ই নি বরং তারা প্রথম দিন থেকেই ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে ভ্রমণ করে এবং সব ধরণের অস্ত্র সহায়তা পাঠিয়ে সন্ত্রাসী এই শাসক গোষ্ঠীর প্রতি সর্বাত্মক  সমর্থন জানিয়েছিল যা  মানব ইতিহাসের স্মৃতি ও পাতা থেকে কখনও মুছে যাবে না।

আজ সাহসী ফিলিস্তিনি জনগণের ধৈর্য ও প্রতিরোধের শক্তি এবং এই অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্টের লড়াই ও সাহসী শক্তি, বাগ্মিতা দখলদার শাসকগোষ্ঠীর অপরাজেয়তার কিংবদন্তি এই শাসন এবং এর প্রধান সমর্থকদের ডুবিয়ে দিয়েছে। ঐশিবানী অনুুসারে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং এর প্রধান সমর্থক আমেরিকার পতন আসন্ন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। # 


342/