হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, তারা রোববার রাফাহ সীমান্তের কেরেম শ্যালম ক্রসিংয়ের কাছে মোতায়েন ইসরাইলি সেনাদের ওপর এক ঝাঁক স্বল্প-পাল্লার ১১৪ মিলিমিটার ‘রাজুম’ রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হামলায় তিন ইসরাইলি সেনা নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। তবে কোনো কোনো হিব্রু গণমাধ্যম বলেছে, হামলায় অন্তত ১৫ ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এসব সেনাকে রাফাহ শহরে সম্ভাব্য স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
ইসরাইলি বাহিনীর হিসাব মতে, এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত ইহুদিবাদী সেনার সংখ্যা ২৬৬ জনে উন্নীত হয়েছে। অবশ্য নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
একজন ইসরাইলি সেনা মুখপাত্র দাবি করেছে, রোববার যে লঞ্চার ব্যবহার করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে সেটিকে বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ওই মুখপাত্র বলেছে, হামাসের নিক্ষিপ্ত রকেটগুলো ভূপাতিত করার জন্য কেন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম কাজ করেনি তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের রকেটগুলো অত্যন্ত নীচু দিয়ে উড়ে গেছে এবং মাত্র ১৪ সেকেন্ডের মাথায় ইসরাইলি সেনা অবস্থানে আঘাত হেনেছে। এ সময় আয়রন ডোম কাজ না করার পাশাপাশি কোনো সাইরেনও বাজেনি।
হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান বলেছেন, কেরেম শ্যালম ক্রসিংয়ের কাছে গতকালের রকেট হামলায় তার সংগঠনের উচ্চ-মাত্রার সামরিক প্রস্তুতি প্রদর্শিত হয়েছে এবং রাফাহ শহরে স্থল অভিযান চালালে তা যে দখলদার সেনাদের জন্য সহজ হবে না সেকথা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।#
342/