প্রথম পর্ব
ইসরাইলি অধ্যাপক হাইম ব্রিশিথ-ঝাবনার (Haim Bresheeth-zhabner) কথিত হলোকাস্ট গণহত্যার শিকার একটি পরিবারের সদস্য। তিনি একাধারে একজন লেখক, চলচ্চিত্র গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজন সাবেক সেনা।
তবে গত কয়েক দশক ধরে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে ইসরাইলের অন্যায় আচরণের ঘোরতর সমালোচনা করে আসছেন।
তার মতে, ৭ অক্টোবরের আগে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রশ্নে ইসরাইল ছিল একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। ৭ অক্টোবরের পর এটি নাৎসিবাদী সরকারে রূপ নিয়েছে যে নাৎসিবাদী আচরণ কখনও প্রকাশ পাচ্ছে কখনও বা গোপন থাকছে।
সম্প্রতি দি নিউ আরব ম্যাগাজিনের সাংবাদিক সালওয়া আমরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে হাইম ব্রিশিথ-ঝাবনারের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারটি উল্লেখযোগ্য অংশ পার্সটুডের দর্শক-শ্রোতার জন্য তুলে ধরা হচ্ছে।
গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইসরাইলিরা যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে তা থেকে কি একথা ধরে নেওয়া যায় যে, ইসরাইলি সমাজে গণহত্যার প্রতি সমর্থন হ্রাস পেতে শুরু করেছে?
আমি একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, ইসরাইলে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তার সঙ্গে ফিলিস্তিনের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসরাইলের বিক্ষোভকারীদের উভয় পক্ষ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার সমর্থক। তারা ইহুদিদের অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলছে; ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
ইসরাইলে বর্তমানে চলমান প্রতিবাদ মূলত ফিলিস্তিনিদেরকে গণহত্যার একটি শিবির থেকে আরেকটি শিবিরে স্থানান্তর করার জন্য করা হচ্ছে। নতুন শিবিরটি বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রশ্নে আগের তুলনায় বেশি বর্ণবাদী। আমাদেরকে একথা মাথায় রাখতে হবে যে, ইসরাইল ইহুদিদের জন্য একটি গণতন্ত্র কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য নয়।
ইসরাইলের মাত্র ৩.২ শতাংশ ইহুদি মনে করে যে, তাদের সেনারা গাজা উপত্যকায় মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে। অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ মনে করছে, গাজায় তেমন কোনো বলপ্রয়োগই করা হচ্ছে না। আর ৮৭.৪ শতাংশ ইসরাইলি গাজায় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপকভাবে হতাহত হওয়ার ঘটনাকে একপ্রকার ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করে।