১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৮:৩৯
কাতারে হামলার পর অনুশোচনা নেই নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতাদের হত্যা করা গেলে গাজা সংঘাতের সমাপ্তি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের নেতৃত্ব বিনষ্ট হয়নি এবং এই হামলা ছিল গাজা সংঘাতের সম্ভাব্য সমাধানে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীদের হত্যাচেষ্টা।



নেতানিয়াহু দাবি করেন, “দোহায় অবস্থানরত হামাস সন্ত্রাসী নেতারাই” যুদ্ধবিরতির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন।

তিনি শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “তাদের সরিয়ে ফেলাই হবে আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করার এবং যুদ্ধ শেষ করার পথে প্রধান বাধা অপসারণ।”

কাতার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিক দফা আলোচনার আয়োজক ছিল এবং এর ফলে ২০২৩ সালে ও চলতি বছরের শুরুর দিকে দুইটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কাতার ইসরায়েলের দোহা হামলাকে "রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং নিজেকে এ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার বলেন, “আমি কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মিত্র এবং বন্ধু হিসেবে দেখি এবং দোহায় এই হামলার ঘটনাস্থল নিয়ে আমি খুবই দুঃখিত।”

পলিটিকো বৃহস্পতিবার জানায়, কাতারে হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রতিবার আলোচনায় অগ্রগতি হয়, তখনই সে (নেতানিয়াহু) কাউকে বোমা মারে।”

মস্কো এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার উদ্দেশ্য হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার জানায়, “হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করছে এবং এই হামলা শান্তি প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করার একটি প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।”

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha