৩ অক্টোবর ২০২৫ - ০৯:২৪
৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবী অপহরণের অভিযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ৪৭ দেশের অন্তত ৪৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বেআইনিভাবে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজামুখী মানবিক সহায়তা বহনকারী ফ্লোটিলা জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এ অভিযোগ তোলে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজগুলোতে খাদ্য, শিশুদের দুধ, ওষুধ এবং বিভিন্ন দেশের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। ইসরায়েলি নৌবাহিনী এসব জাহাজে জলকামান নিক্ষেপ করে, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছিটায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর ৪৪৩ জনকে জোরপূর্বক তাঁদের জাহাজ থেকে সরিয়ে সামরিক জাহাজ এমএসসি জোহানেসবার্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আদালাহ জানিয়েছে, আটক স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়ে সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে এবং স্পষ্ট নয় যে তাঁদের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে কি না। সংগঠনটির দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় মানবিক সহায়তা বহনকারী নৌযান আটক করা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের শামিল।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, “আমরা বিশ্বের সব সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও নেতাদের আহ্বান জানাই—যেন অবিলম্বে অপহৃত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়।”

এদিকে ফরাসি পতাকাবাহী মিকেনো জাহাজটি ফিলিস্তিনি জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হলেও এর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট এখনো স্টারলিংকের মাধ্যমে যোগাযোগে রয়েছে, যেখানে ছয়জন যাত্রী আছেন।

ফ্লোটিলার দাবি অনুযায়ী আটক হওয়া জাহাজগুলো হলো: ফ্রি উইলি (পোল্যান্ড), ক্যাপ্টেন নিকোস (পোল্যান্ড), ফ্লোরিডা (পোল্যান্ড), অল ইন (ফ্রান্স), কারমা, অক্সিগোনো (পোল্যান্ড), মোহাম্মদ ভাহর (নেদারল্যান্ডস), জেনো (স্পেন), সিউল (পোল্যান্ড), হিও (পোল্যান্ড), মর্গানা (ইতালি), ওটারিয়া (ইতালি), গ্র্যান্ডে ব্লু (পোল্যান্ড), দেইর ইয়াসিন (আলজেরিয়া), হুগা (পোল্যান্ড), অরোরা (ইতালি), ইউলার (স্পেন), স্পেকট্রে (স্পেন), আদারা (স্পেন), আলমা (যুক্তরাজ্য), সিরিয়াস (যুক্তরাজ্য)।

যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়া জাহাজগুলো হলো: মিয়ামিয়া, ভ্যাংলেইস, পাভলস, ওয়াহু, ইনানা, মারিয়া, আলাকাতালা, মেটেক, মাংগো, আদাজিও, আহেদ তামিমি, অস্ট্রাল, আমস্টারডাম, ওহওয়াইলা, সেলভাগিয়া, কাতালিনা, এসত্রেলা, ফেয়ার লেডি।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানায়, ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা এবং গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংগঠনটির ভাষায়, ইসরায়েলের প্রতিটি দমননীতি কেবল তাদের দৃঢ়সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha