২ নভেম্বর ২০২৫ - ০১:৩৩
‘ইসরায়েল হামলা চালালে আবারও পরাজয়ের সম্মুখীন হবে’।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি ইসরায়েলি শাসন আবারও ইরানের ওপর হামলা চালায়, তবে তাদের আরেকটি পরাজয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আরাকচি বলেন, ‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আমরা সর্বস্তরে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে আছি। ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধে ইসরায়েল আরেকটি পরাজয়ের স্বাদ পাবে।’




তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক যুদ্ধে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছি। যদি তারা আবারও আক্রমণ চালায়, এর পরিণতি তাদের জন্য হবে ভয়াবহ।’


আরাকচি অভিযোগ করেন, ‘ইসরাইল আমাদের তেল স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে যুদ্ধের পরিসর বিস্তৃত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমরা সফলভাবে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে রেখেছি এবং এটি অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধ করেছি।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করে বলেন, ‘ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে পারত না। নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী, এবং এখন গোটা অঞ্চলের কাছে স্পষ্ট—আসল শত্রু হলো ইসরায়েল।’

পরমাণু ইস্যুতে ইরানের অবস্থান জানিয়ে আরাকচি বলেন, ‘আমরা আমাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে আলোচনায় প্রস্তুত। এটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ন্যায্য চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব, কিন্তু ওয়াশিংটন এমন কিছু শর্ত দিয়েছে যা অগ্রহণযোগ্য ও অবাস্তব। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না—নিজের অস্ত্র শত্রুর হাতে তুলে দেওয়া নির্বুদ্ধিতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ আমরা বন্ধ করতে পারব না। যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জন সম্ভব নয়, তা রাজনৈতিক উপায়েও সম্ভব নয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহী নই, তবে পরোক্ষ সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার পথ খোলা রয়েছে।’

সাম্প্রতিক মার্কিন-ইসরাইলি আগ্রাসনের পর সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, ‘বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচেই পারমাণবিক উপকরণগুলো রয়েছে, সেগুলো অন্য কোথাও সরানো হয়নি। ভবন ও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমাদের প্রযুক্তি অক্ষত রয়েছে।’

ইউরোপীয় তিন দেশের দ্বারা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রচেষ্টাকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে আরাকচি বলেন, ‘ইউরোপীয়দের ‘স্ন্যাপব্যাক’ মেকানিজম সক্রিয় করা আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধ এবং এ বিষয়ে কোনো বৈশ্বিক ঐকমত্য নেই। আমাদের অগ্রাধিকার হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা। আমরা পশ্চিমাদের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে প্রস্তুত, তবে কোনো চাপ বা শর্ত মেনে নয়।’

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha