আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : কংগ্রেস ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশে তাদের সরকার গঠিত হলে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী আন্দোলনের সময়ে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে এবং ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্যেকটি জেলায় ছাত্রাবাস খোলা হবে এবং প্রতিটি বিভাগে একটি ইউনানি মেডিকেল কলেজও খোলা হবে, সংখ্যালঘু ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়া হবে। আম্বেদকর ছাত্রাবাসের আদলে প্রত্যেক জেলায় সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য মাওলানা আজাদ ছাত্রাবাস খোলা হবে।
এ ছাড়া, রাজ্যে সাবেক ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টিকে টার্গেট করার সময়, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, অখিলেশ যাদব সরকারের আমেলে (সমাজবাদী পার্টি) ঘটে যাওয়া ছোটো-বড় সব দাঙ্গার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার পরে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। কংগ্রেস মব লিঞ্চিং বা গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিধানসভা থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
কংগ্রেসের ঘোষণা, উত্তর প্রদেশে তাদের সরকার গঠিত হলে রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের জন্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এছাড়া অনগ্রসর মুসলিমদের উন্নয়নে পাসমন্দা কমিশন গঠন করা হবে। মাদ্রাসার আধুনিকীকরণ এবং শিক্ষকদের বকেয়া বেতন প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে চাপ দেওয়া হবে। গত ৩০ বছরে ওয়াকফ সম্পত্তির কারচুপি তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের ওই সম্মেলনে এভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক ও উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের যুগ্ম দায়িত্বশীল তৌকির আলম বলেন, ‘পরিবর্তন সংকল্প সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে রাজ্য ও দেশে কংগ্রেসই প্রকৃত কণ্ঠ এবং মজলুমদের ন্যায়বিচার প্রদানের কাজ কেবল কংগ্রেসই করবে।’
লক্ষনৌতে ওই সম্মেলনে সর্বভারতীয় সংখ্যালঘু কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি ইমরান প্রতাপগড়ি, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু, জাতীয় সম্পাদক ধীরজ গুর্জর, তৌকির আলম, সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#
342/