কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এমপি দলের অন্য নেতাদের নিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার ব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মধ্যে দিয়েই বিজেপি বিরোধী মানুষদেরকে আবার নিজেদের মধ্যে শামিল করা সম্ভব হবে।
ওই বিষয়ে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘ভারত এক জোটই আছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, শিলচর থেকে সৌরাষ্ট্র— আমরা এক জোটই আছি। কংগ্রেসই দেশকে ভারত ও পাকিস্তানে ভাগ করেছে। পরে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। যদি রাহুল গান্ধী মনে করেন যে, আমার নানা (জওহরলাল নেহরু) ভুল করে ফেলেছিলেন এবং তা নিয়ে ওঁর মনে দুঃখ থাকে, তা হলে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘ভারত জোড়ো’র কোনও অর্থ নেই। আপনি পাকিস্তানকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন, বাংলাদেশকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। এবং অখণ্ড ভারত তৈরির জন্য প্রচেষ্টা চালান।’
বিশ্লেষকদের মতে- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর চলাকালীন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কার্যত বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
অখণ্ড ভারতের ধারণা মূলত উগ্রহিন্দুত্ববাদী আরএসএসের। মতাদর্শগত ভাবে আরএসএসের পথে চলে বিজেপি। ওই ধারণায় অখণ্ড ভারতের অর্থ হল-পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, আফগানিস্তান, তিব্বত এবং মিয়ানমার সমন্বিত অখণ্ড ভারত।#
342/