‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

১৩ নভেম্বর ২০২২

৩:২৬:৪৩ PM
1322787

বাসে ই-টিকেটিং: লিজ বাণিজ্য বন্ধ না হলে বাসযাত্রীর ভোগান্তি কমবে না

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৩০ কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং সেবা শুরু হয়েছে। রোববার সকালে এ পদ্ধতিতে মিরপুর থেকে বেশ কিছু বাস ছেড়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন রুটে।

রাজধানীতে গণপরিবহনে ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের বাগ-বিতণ্ডা নিত্যদিনের চিত্র। ওয়ে বিল সমস্যা, যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ানো, যাত্রী ওঠানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই যাত্রীদের। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তি কমাতে গত ২২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর ৮টি কোম্পানির গণপরিবহনে চালু হয় ই-টিকেটিং। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নগরজুড়ে ই-টিকেটিং চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হল। 

যাত্রীরা বলছেন, ই-টিকেটিং ব্যবস্থা সব পরিবহনে চালু হলে দূরত্ব অনুযায়ী তারা ভাড়া দিতে পারবেন। কমবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। স্বস্তি মিলবে বলেও আশা সবার।

আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরে ৬০টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩১৪টি বাস ই-টিকেটের আওতায় নিয়ে আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী শহর থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা ৩৭টি কোম্পানির বাসসহ মোট ৯৭ কোম্পানির ৫ হাজার ৬৫০ বাস আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ই-টিকেটের আওতার আনার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। 

এ বিষয়ে পরিবহন নেতা ও মহাখালী টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কালাম রেডিও তেহরানকে বলেন, নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। যেখানে শ্রমিক মালিক ও যাত্রী তিন পক্ষই লাভবান হবেন। 

কিন্তু বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও সড়ক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম রেডিও তেহরানকে বলেন, চুক্তিতে বা লিজে বাস চালানো বন্ধ করা না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো অসম্ভব। যাত্রী সেবা দেয়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যও পূরণ হবে না বলে শংকা এই সড়ক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞের।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে প্রথম ই-টিকেটিং সিস্টেমে জাপানি কোম্পানির সহযোগিতায় ঢাকায় RAPID বাস কার্ড চালু করা হয়েছিল। শুধু মাত্র চালক ও মালিকদের লিজ বাণিজ্যের কারণে সেই উদ্যোগ তখন মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় নগর পরিবহনকেও শৃঙ্খলা আনতে বিষয়গুলোর শেকড়ে যেতে হবে, সমস্যা সমাধান করতে হবে। নইলে ই-টিকেটিং এর কোন সুফল আসবে না নগরবাসীর জন্য। #

342/