‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

২২ নভেম্বর ২০২২

৭:২৬:৫০ PM
1325456

অসম-মেঘালয় সীমান্তে সংঘর্ষে বনরক্ষীসহ নিহত ৬, ইন্টারনেট বন্ধ ৭ জেলায়

অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত বিবাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ঘটনায় একজন বনরক্ষীসহ ৬ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে মেঘালয়ের ৫ জন এবং একজন বনরক্ষী রয়েছেন। ঘটনা যাতে বড় আকার না নেয়, সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মেঘালয় সরকার ৭টি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দিয়েছে।     

আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৩টায় মেঘালয় সীমান্তে বেআইনিভাবে কাঠ বহন করার অভিযোগে একটি ট্রাককে থামায় অসম বন বিভাগ। ট্রাকটি পালানোর চেষ্টা করলে বনরক্ষী গুলি চালালে ট্রাকের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এরপর বনরক্ষীরা ঘটনাটি জিরিকেন্ডিং থানায় জানায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স দাবি করে। পুলিশের দল পৌঁছলে মেঘালয় থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে পৌঁছায়।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে জনতা বনরক্ষী ও পুলিশের দলকে ঘেরাও করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায়। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বনরক্ষী এবং ৫ জন মেঘালয়ের বাসিন্দা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মেঘালয় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। 

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড়, রি-ভোই, পূর্ব পশ্চিম খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড় এবং দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলাগুলোতে ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।     

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে ৫০ বছর ধরে চলমান সীমান্ত বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, দিলীপ সেকিয়া এমপি এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা রাজধানী দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ সময় সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সমঝোতা হয়েছিল।

সেসময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, উভয় রাজ্যের সীমান্তের ৭০ শতাংশ আজ বিবাদমুক্ত হয়েছে। উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন যে আমরা আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী বিরোধের সমাধান করব। অমিত শাহ সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাদের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী যে উন্নত উত্তর-পূর্বের স্বপ্ন দেখেছেন তা শিগগিরি পূরণ হবে।

342/