জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫৭৭ বিলিয়ন ডলালের। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি। আগের মাস মার্চে প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় লক্ষ্য থেকেও পিছিয়েছে। ১০ মাসে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। আগের মাস মার্চে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ১০ মাসে ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ১০ মাস ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬১০ বিলিয়ন ডলারের। আর নিট পোশাক রপ্তানি রয়েছে ২০ দশমিক ৯৬৮ বিলিয়ন ডলারের। প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হলে তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ বৃদ্ধি পায়। ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বৈশ্বিক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় তৈরি পোশাক রপ্তানির কার্যাদেশ কমতে শুরু করে। গত কয়েক মাস আগে থেকেই রপ্তানিকারকরা বলছিলেন রপ্তানি আয় কমবে। রপ্তানি আয়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তেও শুরু করেছে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, গত কয়েক মাসের রপ্তানি হ্রাসের ধারাবাহিকতা ও ঈদের লম্বা ছুটির কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ে এই হোঁচট লেগেছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই কার্যাদেশ কমে গেছে, যার প্রভাবে রপ্তানি আয় কমেছে। এমন বাস্তবতায় গ্যাস বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ফিরে দাড়াতে চান এ গার্মেন্টসব্যবসায়ী নেতা।
এপ্রিল মাসে ২৩ তারিখে ঈদ হয়েছে। এর আগের দিন থেকে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। ২ মে কারখানা খুলেছে। এ সময়ে উৎপাদন যেমন বন্ধ ছিল, বন্ধ ছিল রপ্তানিও। ঈদ ও পহেলা মে’র ছুটি শেষে অধিকাংশ কারখানা ২ মে থেকে খুলেছে।
এদিকে নীপা গার্মেন্টস ইন্ড্রাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খসরু চৌধুরী বলেছেন, এমন অবস্থায় এখই দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করার দাবি জানান এ ব্যবসায়ী।#
342/