তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে ওঠার বিষয়টিকে পাশ্চাত্যের দেশগুলো ভয় পায়। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদার হওয়া এবং বিশ্ব ব্যবস্থায় তার প্রভাব নিয়ে ফ্রান্স ভীত হয়ে পড়েছে।
ফ্রান্সের একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, রাশিয়া দিন দিন চীনের অধীনস্ত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক করদরাজ্যের সম্পর্কে পরিণত হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের জবাবে গ্রুশকো বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সেই বাস্তবতা একসময় ইমানুয়েল ম্যাক্রোন এবং পাশ্চাত্যের অন্য নেতাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ছাড়া অন্য কিছু নয়, এখানে নির্ভরশীলতার কোনো কিছু নেই।
গত মার্চ মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়া সফরে যান এবং সে সময় দ্বীপক্ষীয় বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলেন। দুই নেতা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসার আগে একে অপরকে 'প্রিয় বন্ধু' বলে সম্বোধন করেন।#
342/