গতকাল (সোমবার) বিকেলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যত সংকট চলছে তার প্রত্যেকটি পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংকট বিস্তারের বিরুদ্ধে ইরাক আগেই সতর্ক করেছে এবং আঞ্চলিক বিষয়ে যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অনুসরণ করছে।
ইরাকের এ কূটনীতিক বলেন, কয়েকটি মিত্র দেশ যে বাহুল্য এবং অযৌক্তিক অজুহাত তুলে ইরাকের সার্বভৌমত্ব লংঘন করে যে হামলা চালিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়, বাগদাদ সরকার এর নিন্দা করছে। তিনি বলেন, হামলার বিষয়ে যে অজুহাত দেখানো হচ্ছে বাগদাদ সরকার তা সুনির্দিষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
আব্বাস কাধোম বলেন, “আমাদের সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর যেকোনো ধরনের হামলাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি যা আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার মারাত্মক লঙ্ঘন। সমস্ত দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এই নিরাপত্তা পরিষদের রক্ষা করতে হবে।”
গতকালের এই অধিবেশনে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত কুসাই আল-দাহাক বলেন, বৈঠকে শোনা যুক্তিগুলো ছিল "একই ক্ষীণ অজুহাত এবং বিভ্রান্তিকর দাবি যা মার্কিন প্রশাসন সিরিয়ার ওপর বারবার হামলার ন্যায্যতা দেয়ার জন্য বলে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ সনদের বিধানগুলো বিশেষ করে ৫১ অনুচ্ছেদের একটি বিকৃত এবং ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, এই অঞ্চলে সংঘাত, দুর্ভোগ ও অস্থিতিশীলতার মূল কারণগুলো হলো আমেরিকার "ভুল এবং ধ্বংসাত্মক নীতি।"#
342/