তিনি গতকাল (বুধবার) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ‘আল-কুদস মিম্বর’ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক কুদস দিবসের আগে তেহরান, দামেস্ক, সানা, বৈরুত ও বাগদাদে একযোগে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বব্যাপী কুদস দিবস পালিত হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদাসীনতা ও নীরবতার সুযোগে ইহুদিবাদী ইসরাইল বহু বছর যাবত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে ধ্বংসযজ্ঞ, নিপীড়ন ও বর্বরতা চালিয়ে আসছিল আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল তার বিরুদ্ধে একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইসরাইল
রাজনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট রায়িসি।
তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধে ইহুদিবাদীদের বহু স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অগ্রগামী থাকার বিষয়টি ইসরাইলের ‘অপরাজেয়’ ভাবমূর্তির মূলে কুঠারাঘাত করেছে এবং এর ফলে বিশ্বের সামনে দখলদার এই শক্তির ভঙ্গুর অবস্থা প্রমাণিত হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অন্তঃসারশূন্য সরকার রাজনৈতিক অঙ্গনেও অভ্যন্তরীণভাবে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় পতনের কাছাকাছি রয়েছে। তিনি বলেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও ইসরাইল তার ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। রায়িসি বলেন, গাজা পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে, যদি কোনো জাতি ঈমানের বলে বলীয়ান হতে পারে তাহলে সন্দেহাতীতভাবে জাগতিক যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে সে বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করবে। তিনি বলেন, এটি একটি ঐশী প্রতিশ্রুতি এবং এ প্রতিশ্রুতি কখনও ব্যর্থ হয় না।#
342/