এই প্রতিবেদনে, গত ১২ বছরে বাধ্যতামূলক শরণার্থীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী এ কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মে মাস নাগাদ বাধ্যতামূলক শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটিতে যা থেকে নতুন নতুন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা বিশ্বের নানা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। পার্সটুডের তথ্য অনুসারে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে বিশ্বের বাস্তুচ্যুত মানুষের মোট সংখ্যা বিশ্বের ১১তম জনবহুল দেশ অর্থাৎ জাপানের জনসংখ্যার সমান।
বিশ্বব্যাপী বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল সুদান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং মিয়ানমারসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাপক সংঘাত। গত বছর ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ১০ কোটি আট লাখ সুদানী নাগরিক শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে গাজা উপত্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্বে শরণার্থীদের সংখ্যা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া ধারণা করছে, গত বছরের শেষ নাগাদ, ইসরাইলি আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের কারণে গাজা উপত্যকায় ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ যারা মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।#
342/