২১ মে ২০২৫ - ১৯:০৮
Source: Parstoday
ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য ‘অমুক কিংবা তমুকের’ অনুমতির তোয়াক্কা করে না: আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

পার্সটুডে-ইসলামী বিপ্লবের নেতা আজ (মঙ্গলবার) শহীদ রায়িসিসহ অন্যান্য শহীদদের পরিবার এবং সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দায়িত্বশীল শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাম্প্রতিক আলোচনায় মার্কিন পক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: বাজে কথা বলার চেষ্টা করো না। ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে দেব না-এটা বলা একটা বড় ভুল। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য ‘অমুক কিংবা তমুকের’ অনুমতির তোয়াক্কা করে না।

পার্সটুডে আরও জানায়, ইসলামী বিপ্লবের নেতা জোর দিয়ে বলেছেন: অন্য কোনো উপলক্ষ্যে আমি জাতিকে বলব: এই জেদের পিছনে তাদের আসল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী। হযরত খামেনেয়ী ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ রায়িসির হৃদয়, ভাষা এবং ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন: ফেরাউনি শাসন থেকে দূরে থাকা এবং ঐশি শাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়া দেশ পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ওই মানদণ্ডের একজন নিখুঁত উদাহরণ ছিলেন শহীদ রায়িসি।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: আল্লাহর বান্দাদের সেবা করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করা এবং পদাধিকার থেকে উদ্ভূত রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের ব্যবহার এড়িয়ে চলাকে শহীদ রায়িসির ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের একটি শিক্ষনীয় মহান দিক ছিল। তিনি বলেন: ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মধ্যে এ ধরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে এই বৈশিষ্ট্য ও শিক্ষাগুলোকে জনসাধারণের সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। শহীদ রায়িসির স্পষ্টভাষী চরিত্র ও সততার কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন: এই আচরণের গুরুত্ব বোঝার জন্য পশ্চিমা কিছু দেশের কর্মকর্তাদের মিথ্যাচারের সাথে তুলনা করা উচিত। শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য যাদের যাদের যাদের আর্তনাদ বিশ্বকে বধির করে তুলেছে অথচ গাজায় তারা ২০ হাজারেরও বেশি নির্যাতিত শিশু হত্যার ঘটনায় তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এমনকি তারা ওই অপরাধীদের সাহায্য করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে না।

শহীদ প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন সেবার কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেী আরও বলেন: শহীদ রায়িসি ইরানি জাতির সেবা করেছেন এবং তাদের সম্মান, মর্যাদা ও সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। বিপ্লব বিজয়ের সময় ‘উর্দিবেহেশত শহীদ’দের হয় তরুণ কিংবা কিশোর ছিলেন অথবা তখনও জন্মগ্রহণ করেন নি। তারই স্মৃতিচারণ করে সর্বোচ্চ নেতা সেই তরুণদেরসহ দেশের প্রতিটি কোণে লক্ষ লক্ষ তরুণের প্রশিক্ষণকে ইসলামী বিপ্লবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন:

এটাই ইসলামী বিপ্লবের শক্তি যা আরমান আলীবর্দির মতো ১৯ বছর বয়সী যুবককে আশরাফি ইস্ফাহানির শাহাদাতের পথে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ৪০ বছর আগে ৯০ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আশরাফি এসফাহানি শহীদ হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন: আমাদের অবশ্যই এই বিপ্লবের মূল্য, বিপ্লবের মানবিক শক্তি, এর থেকে উদ্ভূত অগ্রগতি এবং ইরানী জাতির মহান আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল্লাহর দরবার আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে ইরানী জাতির এই স্থায়ী শিক্ষা বিশ্ব মানবতা এবং অন্যান্য জাতির জন্যও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।#

Your Comment

You are replying to: .
captcha