আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা): সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পুলিশ জানিয়েছে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন জানানোর অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে দেওয়া এক পোস্টে পুলিশ বলেছিল, ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন জানানো যে কাউকে আমরা গ্রেফতার করব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ স্কয়ারের ওপর বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিচ্ছে। তাদের হাতে ছিল ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি। আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামের অ্যাডভোকেসি গ্রুপ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। গ্রুপটি এক্সে লিখেছে, ‘মানুষ সমষ্টিগতভাবে গাজায় গণহত্যা এবং প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধের বিরোধিতা করছে।’
প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে হওয়া ধারাবাহিক বিক্ষোভে এটি সর্বশেষ গ্রেফতারের ঘটনা। সমালোচকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিক্ষোভের অধিকার খর্ব করছে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
২০০০ সালের সন্ত্রাসবাদ আইন অনুযায়ী, সংগঠনটির সদস্যপদ গ্রহণ করা বা সমর্থন জানানো এখন অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড।
ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ফিলিস্তিনি পতাকার মতো সাদা-কালো স্কার্ফ পরেছেন। তাঁদের ‘আপনাদের লজ্জা পাওয়া উচিত’, ‘গাজা থেকে হাত গুটাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা গেছে। পাশাপাশি ‘আমি গণহত্যার বিরোধী, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থক’ এর মতো বিভিন্ন স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতেও দেখা গেছে।
শনিবার পার্লামেন্ট স্কোয়ার থেকে আল জাজিরার সোনিয়া গ্যালেগো জানিয়েছেন, গ্রেফতার বা শাস্তির হুমকি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থকদের’ দমিয়ে রাখতে পারেনি।
বিক্ষোভকারী প্যাডি ফ্রেন্ড বলেছেন, সমাবেশে পুলিশের প্রতিক্রিয়া যুক্তরাজ্যে স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘যদি আমরা মাত্র সাতটি শব্দ লেখা একটি সাইনবোর্ড নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে না পারি, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মানেটা কী?’
আরেক বিক্ষোভকারী দাদী মানজি ম্যানসফিল্ড আগের এক সমাবেশে গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও শনিবার আবারও প্রতিবাদে অংশ নেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘এটা সেই ব্রিটেন নয় যেখানে আমি বড় হয়েছি।’
Your Comment