আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজা শহর দখলে নিতে ইসরাইল তাদের হামলা আরো তীব্র করেছে। শহরটিতে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করেন।
এদিকে তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও তীব্র অপুষ্টিতে এক শিশুসহ আরো পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অনাহারে মোট নিহতের সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৪১টি শিশুও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুধবার পশ্চিম গাজা শহরের বহুতল আবাসিক ভবন টিবা-২ ইসরাইলি সেনাবাহিনী ধ্বংস করেছে। এতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, আশপাশের এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারদের তাঁবু থাকা সত্ত্বেও, সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পরপরই ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো ভবনটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলার ফলে টাওয়ার ও এর কাছাকাছি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
আল-মাওয়াসি এলাকাটিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী সেখানে বারবার বোমা হামলা চালিয়েছে। ফলে ওই অঞ্চলে আশ্রয় নেয়া শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বর্তমানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি জনাকীর্ণ এই অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে বাস করছেন।
আনাদোলু জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনে গাজা সিটিতে ধ্বংস হওয়া সপ্তম বহুতল ভবন টিবা-২। এটি ইসরাইলের এমন একটি অভিযানের অংশ যা হাজার হাজার পরিবারকে গৃহহীন করে তুলছে।
গত সোমবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তি না দিলে এবং অস্ত্র সমর্পণ না করলে, গাজা সিটিতে অন্যান্য আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলার এবং ‘উপত্যকা ও হামাসকে ধ্বংস’ করা হবে।
 
             
             
                                         
                                         
                                         
                                        
Your Comment