আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ট্রাম্প বলে, ‘জাতিসংঘের কিছু সদস্য যেন সংঘাতকে আরও উৎসাহিত করার জন্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি হবে হামাসের সন্ত্রাসীদের জন্য এক বড় পুরস্কার, বিশেষ করে ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ ঘটনার পর।’
গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে একাধিক দেশ। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’
একই বৈঠকে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও বেলজিয়ামও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। এর আগে এই সপ্তাহে কানাডা, ব্রিটেন, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়াও একই ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতিগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবল বাড়াবে। তবে ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে বাস্তব রাজনৈতিক ও ভূখণ্ডগত পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম।
জাতিসংঘে ভাষণে একের পর এক দেশ কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপকে “ভুল বার্তা” আখ্যা দেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, এমন পদক্ষেপ কেবল সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
Your Comment