৫ অক্টোবর ২০২৫ - ১৭:৩৫
ইউরোপে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, দোকানপাট ভাঙচুর।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দেওয়ার পর, ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে এবং দোকান ও রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করে।




ত্রাণবাহী ফ্লোটিলা জাহাজ থেকে সশস্ত্র ইসরায়েলি সৈন্যরা বিভিন্ন দেশের প্রায় চার শতাধিক মানবাধিকার কর্মীকে আটক করে।  তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থানবার্গও ছিলেন। এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়ে ইসরায়েল।


বার্সেলোনায় বিক্ষোভকারীরা স্টারবাকস, বার্গার কিং হ্যামবার্গার ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ক্যারিফোর সুপারমার্কেটসহ বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর জানালা ভেঙে ফেলে। ওইসব দোকানের দেয়ালে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান স্প্রে-পেইন্ট করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এসব প্রতিষ্ঠান গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সহযোগী।

ইতালিতে শিক্ষার্থীরা মিলানের স্টাতালে এবং রোমের লা সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়ির টায়ার দিয়ে তারা বোলোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। তুরিনে শত শত মানুষ শহরের রিং রোডে যান চলাচল অবরোধ করে।



সারা ইউরোপে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ডাবলিন, প্যারিস, বার্লিন ও জেনেভার রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের ফ্লোটিলা আটকের নিন্দা জানিয়েছেন। বুয়েনস আয়ার্স, মেক্সিকো সিটি এবং করাচিতেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

ইস্তাম্বুলে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে হাজারো জনতা জড়ো হয়। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল— ‘ইসরায়েল মানবজাতিকে হত্যা করছে, গাজাকে নয় / চুপ থেকো না, বসে থেকো না, দাঁড়িয়ে যাও।’

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha