আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): মানবিক বিষয়ক সমন্বয় (ওসিএইচএ) অফিসে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চলমান সহায়তা ইতোমধ্যেই উপত্যকার সকল এলাকার মানুষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তবে তাদের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কেউ যেন এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ ও আমাদের অংশীদাররা গাজা শহরে পাঁচটি অস্থায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। ইতোমধ্যে চারটি স্কুলের সংস্কার কাজ চলছে।’
জাতিসঙ্ঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের সর্বশেষ অবস্থা বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার প্রায় ৮১ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের পর থেকে উত্তর গাজায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল। উপত্যকাজুড়ে ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি কাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার কাঠামোতে গুরুতর বা মাঝারি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।’
‘২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে ১০ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়। তবে ইসরাইল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
Your Comment