আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গতকালের হামলার পর পূর্ব রাফায় আহত সেনা সদস্যদের দেখতে যায় ইসরায়েল কাৎজ। সেখানেই সে অভিযান দৃঢ় করার কথা বলে।
হামাসের সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস ও সব বন্দি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল গোষ্ঠীটির অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রাখবে বলেও তখন উল্লেখ করে কাৎজ। বুধবারের হামলাটি হয় শরণার্থী শিবির আল-মাওয়াসি এলাকায়। এটি ইসরায়েলের দ্বারাই নিরাপদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। গাজার সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়।
বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ১৬ জন। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬৬ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৯৩৮ জন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭০ হাজার ১২৫ ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, তার সংগঠন যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে। সবশেষ এর প্রমাণ হিসেবে এক বন্দির দেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ইসরায়েল শর্ত লঙ্ঘন করে শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেন, তেল আবিবের ওপর গুরুতর চাপ তৈরি করুন। রাফাহ ক্রসিংয়ের দুই দিকই খুলে দিতে বলুন।
Your Comment