আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ড্রোন হামলা কয়েকটি পৃথক স্থানে সংগঠিত হয়েছে। প্রথম হামলায় একটি কিন্ডারগার্টেন লক্ষ্যবস্তু ছিল এবং পরবর্তী হামলায় আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় এদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়, বলে WHO সূত্রে জানা গেছে।
ইউনিসেফ তাদের আলাদা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামলায় ৫–৭ বছর বয়সী শিশুদেরও প্রাণ হারাতে হয়েছে। শিশুদের কখনোই সংঘাতের মূল্য বহন করবার কথা না- এই ঘোষণা দিয়ে সংগঠনটি সব পক্ষকে অবিলম্বে এই ধরনের হামলা থামাতে আহ্বান জানিয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ড্রোন হামলা ও যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের নিন্দা জানিয়েছে। এই সম্পর্কে শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে এবং অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ করে মানবিক সহায়তার নিরাপদ প্রবেশের দাবি উঠেছে।
সুদানে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (RSF) এর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘাতে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা এবং নির্দিষ্ট বেসামরিক স্থান, যেমন স্কুল ও হাসপাতালের ওপর ড্রোন আক্রমণের ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক তেদরোস আধানোম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, “এ ধরনের হামলা অসংখ্য বেসামরিক মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাজেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা বাড়াতে এবং সহিংসতা কমাতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ হামলার কারণে বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারী চাপ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ করদোফানে লক্ষাধিক লোক ছিন্নমূল হয়েছে, যেখানে সহিংসতা ও ড্রোন হামলার ফলে জীবনযাত্রা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
Your Comment