আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইউরোপে ইসলামী ছাত্র সংঘের ঊনষাটতম বার্ষিক সম্মেলনে পাঠানো বার্তায় হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামি ইরানের তরুণদের সৃজনশীলতা, সাহস ও আত্মত্যাগের কারণে মার্কিন সেনাবাহিনী এবং তার লজ্জাজনক সহযোগীর ব্যাপক আক্রমণ এই অঞ্চলে পরাজিত হয়েছে।
সর্ব্বোচ নেতা জোর দিয়ে বলেন: দুর্নীতিগ্রস্ত ও অত্যাচারী শক্তিগুলির অস্থিরতার মূল কারণ পারমাণবিক ইস্যু নয়; বরং ইসলামি ইরান যে অন্যায় বৈশ্বিক শৃঙ্খলা ও আধিপত্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পতাকা উঁচু করেছে এবং ন্যায়ভিত্তিক ইসলামি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে—এটাই তাদের ক্রোধের প্রকৃত উৎস।
ইসলামী বিপ্লবের নেতার বাণীর মূল বক্তব্য নিম্নরূপ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় তরুণরা!
এই বছর তোমাদের ইসলামী দেশ ইরান ঈমান, ঐক্য ও আত্মবিশ্বাসের বরকতে বিশ্বের কাছে নতুন মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছে। মার্কিন সেনাবাহিনী এবং তার লজ্জাজনক সহযোগীর ভারী আগ্রাসন এই অঞ্চলে ইসলামি ইরানের তরুণদের সৃজনশীলতা, সাহস ও আত্মত্যাগের সামনে পরাজিত হয়েছে।
এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ইরানের জনগণ তাদের নিজস্ব সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে, ঈমান ও সৎকর্মের ছায়ায়, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অহংকারী শক্তির মোকাবেলায় দাঁড়াতে সক্ষম; এবং তারা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উচ্চস্বরে ইসলামী মূল্যবোধের আহ্বান বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে পারে।
আমাদের প্রিয় কিছু বিজ্ঞানী, সেনানায়ক এবং জনগণের শহীদ হওয়ায় গভীর শোক আমাদের আন্দোলনকে থামাতে পারেনি এবং পারবেও না। সেই শহীদদের পরিবারগুলোই আজ আন্দোলনের অগ্রগামীদের সারিতে রয়েছে।
এখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু পারমাণবিক ইস্যু বা অনুরূপ কিছু নয়। এটি বিশ্বব্যাপী অন্যায় শৃঙ্খলা ও আধিপত্যবাদী শক্তির জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং ন্যায়ভিত্তিক ইসলামি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার দিকে যাত্রার আহ্বান।
এটাই সেই মহান দাবি—যার পতাকা ইসলামি ইরান উঁচু করে ধরেছে এবং যার কারণে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অত্যাচারী শক্তিগুলি ক্রুদ্ধ হয়েছে।
তোমরা, বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত ছাত্ররা, এই মহৎ দায়িত্বের একটি অংশ নিজেদের কাঁধে বহন করছো। হৃদয়কে আল্লাহর দিকে সমর্পণ করো, নিজের সামর্থ্য চিনে নাও, এবং তোমাদের সংঘগুলিকে এই পথে অগ্রসর করো।
আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন এবং পূর্ণ বিজয় তোমাদের অপেক্ষায়—ইন শা’আল্লাহ।
সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী
Your Comment