‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
রবিবার

১ মে ২০২২

৫:১৩:০২ PM
1253762

বিগত কয়েক দশকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা -এ অঞ্চলের সবচেয়ে কল্যাণপ্রসু এক ঘটনা। এই প্রতিরোধ আন্দোলনই লেবাননের দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড জায়নবাদীদের থাবা থেকে মুক্তি করেছে, এরাই ইরাককে আমেরিকার করাল গ্রাস থেকে ছিনিয়ে এনেছে, ইরাককে দায়েশের (আইসিস) অনিষ্ট থেকে মুক্ত করেছে এবং মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিপরীতে সিরিয়া রক্ষায় নিয়োজিতদেরকে সহযোগিতা করছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা হজরত আয়াতুল্লা আল-উজমা খামেনেয়ী গতকাল (শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২) পবিত্র রমজান (১৪৪৩) মাসের শেষ শুক্রবার ‘বিশ্ব কুদস দিবসে’ মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণটি বিভিন্ন টিভি ও স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে আশাব্যাঞ্জক ভবিষ্যতের বিভিন্ন লক্ষণ গণনা করে তিনি বলেন: গোটা ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনের উন্মুক্ত ক্ষেত্র পরিণত হওয়া, দখলদার বাহিনী ও তাদের প্রধান মিত্র ও পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিন কেন্দ্রীক বিভিন্ন ঘটনা জায়নবাদী ইসরাইলের সাথে সমঝোতার সকল পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিয়েছে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলনের নজীর বিহীন ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন: একমাত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্বের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।

 

কুদস দিবস ২০২২ ইমাম খামেনেয়ী (হাফি.)-এর ভাষণের বাংলা অনুবাদ

بسم الله الرّحمن الرّحیم

و الحمدلله ربّ العالمین و الصّلاة و السّلام علی سیّدنا محمّد و آله الطّاهرین سیّما بقیّة الله فی الارضین.

সালাম হোক ইরানের মহান জাতির প্রতি;যে জাতি প্রকৃত অর্থে আজ এক বীরত্বগাথার জন্ম দিয়েছে। সালাম হোক পবিত্র ইসলামি বিপ্লবের মহান স্থপতি ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর প্রতি। আজ দেশের সকল স্থানে জনসাধারণের উপস্থিতি -যতটা আমি অবগত হয়েছি বা আমি দেখেছি- প্রকৃত অর্থে ছিল এক বীরত্বগাথা ও মহাঘটনা। জনগণ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আজ রাস্তায় নেমেছে। জনসাধারণের এ সম্মিলিত পদক্ষেপ এক মহান ও বরকতময় কাজ; কুদস রক্ষায় আপনাদের গণ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে উপস্থিতি কার্যকরী এক পদক্ষেপ; বাস্তবিক অর্থে এটা (কুদস) প্রতিরক্ষারই অংশ। যারা নিজেদের শরীর ও জীবন দিয়ে কুদস ও মুসলমানদের প্রথম কিবল মসজিদুল আকসা রক্ষায় নিয়োজিত তারা আপনাদের এ পদক্ষেপে আরও উৎসাহিত হবে, তাদের শক্তি ও মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের দৃঢ়তা ও অটলতা বাড়বে। আল্লাহর ইচ্ছা ও তাওফিকে ফিলিস্তিনীদের পদক্ষেপ ও তাদের মহাসংগ্রাম চূড়ান্ত ফলাফলের কাছাকাছি পৌঁছুবে যা হবে বরকতময় ।

আজ আমি কুদস ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে প্রিয় ফিলিস্তিনী ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই এবং আমি তাদের উদ্দেশ্যে আজ আরবিতে কথা বলবো। এ বিষয়ে ইরানের জনগণের উদ্দেশ্যে বহুবার কথা বলেছি এবং বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে আলোকপাত করেছি। আজ ফিলিস্তিনী ভাই ও মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্যে -বিশেষ করে আরব বিশ্বের উদ্দেশ্যে- কথা বলতে চাই।

بسم‌ الله‌ الرّحمن‌ الرّحیم

الحمد لله ربّ العالمین و الصّلاة و السّلام علی سیّد الخلق و اشرف البریّة سیّدنا محمّد المصطفی خاتم المرسلین و علی آله الطّاهرین و صحبه المنتجبین و من تبعهم باحسان إلی یوم الدّین.

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য নির্ধারিত। দরুদ ও সালাম হোক সর্বশ্রেষ্ট ও সবচেয়ে সম্মানিত সৃষ্টি আমাদের নেতা মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি)-এর উপর যিনি আল্লাহ্ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ (রাসূল) এবং দরুদ ও সালাম হোক তাঁর পবিত্র বংশধরদের উপর ও তাঁর মনোনীত সাহাবীদের উপর। আর তাদের উপর যারা তাদেরকে উত্তমরূপে অনুসরণ করেছেন কেয়ামত পর্যন্ত।

বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের প্রতি সালাম! সালাম হোক মুসলিম বিশ্বের যুব সমাজের প্রতি এবং ফিলিস্তিনের সাহসী ও আত্মসম্মানের অধিকারী যুবসমাজ ও সকল জনগণের প্রতি।

আবারও কুদস দিবসের আগমন ঘটেছে। পবিত্র কুদস বিশ্বের সকল মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আহবান জানাচ্ছে। বাস্তবতা হল, যতদিন দখলদার ও অপরাধী জায়নবাদীদের দখল কুদসের উপর রয়েছে ততদিন প্রতিদিনই মুসলমানদের জন্য কুদস দিবস। পবিত্র কুদস হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রাণকেন্দ্র এবং সমুদ্র থেকে নদী পর্যন্ত কুদসের আওতাভূক্ত। ফিলিস্তিনী জাতি আগের যেকোন সময়ের চেয়ে জুলুমের বিপরীতে দৃষ্টান্তহীন সাহসিকতার নজীর রেখে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। যুবকরা নিজেদের আত্মোৎসর্গী বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় প্রতিবন্ধক প্রাচীর গড়ে তুলেছে এবং ব্যতিক্রম এক ভবিষ্যতের সুসংবাদ দিচ্ছে।

চলতি বছর এমন অবস্থায় আমরা কুদস দিবস পালন করছি যে, ফিলিস্তিনের সামনে আজ এবং আগামীকালের নতুন সমীকরণ হাতছানি দিচ্ছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনি জনগণের ‘অপ্রতিরোধ্য মনোভাব’ ইহুদিবাদী ইসরাইলের ‘অপ্রতিরোধ্য সেনাবাহিনী’র স্থান দখল করেছে এবং ইসরাইলি বাহিনীকে আক্রমণাত্মক ভূমিকা থেকে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় চলে যেতে বাধ্য করেছে।রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ দখলদার ইসরাইরাইলের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা নিজেই উপর্যপুরি পরাজয়ের সম্মুখীন; (যার মধ্যে) আফগানিস্তান যুদ্ধে পরাজয়, ইসলামি ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে পরাজয়, এশিয় বিভিন্ন শক্তির বিপরীতে পরাজয়, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, নিজের দেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং স্বয়ং আমেরিকার প্রশাসনে গভীর ফাঁটল (উল্লেখযোগ্য)।

রাজনৈতিক ও সামরিক উভয় অঙ্গনে দখলদার জায়নবাদীরা নানান সমস্যায় জর্জরিত; অপারেশন ‘সাইফ আল-কুদসে’র পর একসময়ের জল্লাদ ও অপরাধী আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে; এ সরকারের শীর্ষে যার অবস্থান ছিল এবং তার বর্তমান স্থলাভিষিক্তও প্রতিটি মুহূর্তে আরেকটি অপারেশনের আতঙ্কে আতঙ্কিত।

জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের প্রতিরোধ সংগ্রামে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাগলপ্রায় অবস্থা। অথচ এখন থেকে ২০ বছর আগে নাহরিয়া এলাকায় মাত্র কয়েকজন ইহুদিবাদীর নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল, তারা চেয়েছিল জেনিনের কাজকে চিরতরে সমাধা করতে!

বিভিন্ন জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে, ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালে দখল হওয়া অঞ্চলগুলোর শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফিলিস্তিনীসহ ফিলিস্তিনের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে ফিলিস্তিনী নেতাদেরকে দখলদার জায়নবাদীদের উপর সামরিক হামলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। কেননা এর অর্থ হল দখলদার মোকাবিলার জন্য ফিলিস্তিনীদের পূর্ণ প্রস্তুতি এবং এর মাধ্যমে মুজাহিদ সংগঠনগুলোর জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রয়োজনে তারা যে কোন সময়ে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে।

১৯৪৮ সালে দখল হওয়া ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ফিলিস্তিনি জনগণের জিহাদি মুভমেন্ট, একই সময়ে জর্ডান ও পূর্ব জেরুজালেমে ভারী মিছিল, আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় ফিলিস্তিনি যুবকদের সাহসিকতা ও জীবনোৎসর্গ এবং গাজায় সামরিক মহড়া থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, গোটা ফিলিস্তিন আজ প্রতিরোধ আন্দোলনের উন্মুক্ত ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং জিহাদ অব্যাহত রাখতে ফিলিস্তিনের জনগণ দৃঢ়চিত্তে ঐক্যবদ্ধ।

এ ঘটনা এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনে যা কিছু ঘটেছে তা জায়নবাদী শত্রুর সাথে সমঝোতার সকল পরিকল্পনাকে পণ্ড করে দিয়েছে। কেননা ফিলিস্তিনের বিষয়ে ফিলিস্তিনীদের অনুপস্থিতি বা তাদের মতামত বিরোধী যে কোন পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন অযোগ্য। এর অর্থ হল ওসলো চুক্তি, আরবদের উত্থাপিত টু স্টেট প্রকল্প, ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি বা (জায়নবাদীদের সাথে) সম্পর্ক স্বাভাবিক করণে লজ্জাজনক পদক্ষেপসহ ইতিপূর্বের সকল চুক্তিই ব্যর্থ হয়েছে।

জায়নবাদী সরকার শক্তিহীন হয়ে পড়া সত্ত্বেও তারা তাদের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে এবং মজলুম জনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে; তারা নিরস্ত্র নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যুবকদেরকে হত্যা করছে, তাদেরকে কারাবন্দী করছে, তাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের বাড়ী-ঘর গুড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের কৃষিক্ষেত্র এবং সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকায় মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা ইউক্রেন ইস্যুতে গলাবাজি করলেও ফিলিস্তিনে এতশত অপরাধ-হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে মুখে কূলুপ এটেছে, তারা মজলুম ও নির্যাতিতের পক্ষ না নিয়ে রক্তচোষা নেকড়দেরকেই সহযোগিতা করতে ব্যস্ত।

এ আমাদের জন্য বড় শিক্ষা যে, ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে বর্ণবাদী ও শত্রুতা মনোভাবাপন্ন শক্তিগুলোর প্রতি নির্ভরশীল হওয়া যায় না; বরং শুধুমাত্র পবিত্র কুরআন ও ইসলামি আহকাম সমর্থিত প্রতিরোধ আন্দোলনের শক্তির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সমস্যা সমাধান করা সম্ভব; যে সমস্যার শীর্ষে রয়েছে ফিলিস্তিন ইস্যু।

বিগত কয়েক দশকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা -এ অঞ্চলের সবচেয়ে কল্যাণপ্রসু এক ঘটনা। এই প্রতিরোধ আন্দোলনই লেবাননের দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড জায়নবাদীদের থাবা থেকে মুক্তি করেছে, এরাই ইরাককে আমেরিকার করাল গ্রাস থেকে ছিনিয়ে এনেছে, ইরাককে দায়েশের (আইসিস) অনিষ্ট থেকে মুক্ত করেছে এবং মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিপরীতে সিরিয়া রক্ষায় নিয়োজিতদেরকে সহযোগিতা করছে।

প্রতিরোধ আন্দোলন মূলতঃ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, ইয়েমেনের প্রতিরোধী জনগণকে তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে সহযোগিতা করছে, ফিলিস্তিনে জায়নবাদীদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে; মহান আল্লাহর তাওফিকে তারা জায়নবাদীদেরকে নতজানু করতে সক্ষম হবে এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা কুদস ও ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমনে দিনের পর দিন আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করতে পারবে।

ফিলিস্তিনের জনগণ, ১৯৪৮ সালে দখল হওয়া ভূখণ্ডসহ পশ্চিম তীরের উৎসর্গী যুবকেরা, জেনীন শরণার্থী শিবিরের যোদ্ধারা, ফিলিস্তিনের বাইরে অবস্থিত ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবিরের অধিবাসীরা প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর অংশ; আপনারাই সম্মুখ সারিতে লড়ছেন, জেনে রাখুন ((اِنَّ اللَهَ یُدافِعُ عَنِ الَّذِینَ آمَنوا)) [আল্লাহ মু’মিনদেরকে রক্ষা করেন (যাবতীয় অনিষ্ট হতে)।] ((لَئِنصَبَرتُملَهُوَخَیرٌلِلصّابِرین)) [আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য অবশ্যই তা উত্তম।] ((وَاِنتَصبِرواوَتَتَّقوافَاِنَّذٰلِکَمِنعَزمِالاُمور)) [এবং তোমরা যদি ধৈর্যধারণ কর আর তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে অবশ্যই তা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ।] ((سَلامٌعَلَیکُمبِماصَبَرتُمفَنِعمَعُقبَىالدّار)) [তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, কারণ তোমরা ধৈর্যধারণ করেছিলে। কতই না উত্তম পরকালের এই ঘর!]

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিরোধ আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থক (একইভাবে) ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ আন্দোলনেরও পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থক -এ কথা আমরা সবসময় বলেছি এবং আমরা কাজেও এর প্রমাণ দিয়েছি, আমাদের কথার উপর আমরা অটল। (জায়নবাদী ইসরাইলের সাথে) সম্পর্ক স্বাভাবিক করণে বিশ্বাষঘাতকতা পূর্ণ পদক্ষেপের আমরা নিন্দা জানাই, একইভাবে জায়নবাদী ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করণ নীতির।

আর এই যে, কিছু কিছু আরবীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের কথা বলছে, যদি তাদের উদ্দেশ্যে (আমেরিকার) মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগের আগে দখলদার বাহিনীর সামনে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার বিষয় হয়ে থাকে তাহলে প্রথমতঃ তারা খেয়ানত করেছে এবং আরব বিশ্বের কপালে কলঙ্কের দাগ এঁকে দিয়েছে, দ্বিতীয়তঃ তারা বিষয়টিকে অত্যন্ত সহজভাবে নিয়েছে, কেননা এক অন্ধ আরেক অন্ধের লাঠি হতে পারে না!

সবশেষে আমি ফিলিস্তিনী শহীদদের রুহগুলোর প্রতি সালাম জানাই এবং তাদের ধৈর্যশীল পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। (ইসরাইলী) কারাগারে দৃঢ়চিত্তে যারা প্রতিরোধ করছে তাদের প্রতি আমার সালাম। এ প্রতিরোধের গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের প্রতি সালাম এবং সম্মান ও মহানুভবতার এ ময়দানে মুসলিম বিশ্ব -বিশেষ করে যুবসমাজ-কে আমন্ত্রণ জানাই।

وآخر دعوانا أن الحمدُ لله ربّ العالمین

[‘আর তাদের দোয়া’র সর্বশেষ কথা হবে ‘সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য’। (সূরা ইউনুস্: ১০)]

ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

#176