গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে আটকের পর দলের নেতা কর্মীরা রাজপথে নেমে আসে এবং ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে। এর বিপরীতে পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষ ইমরান খানের দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে।
এরইমধ্যে সেনা কর্তৃপক্ষ সাবেক ইমরান খান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিকে আটক করেছে। তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এর আগে গতকাল পিটিআই দলের অন্য দুই সিনিয়র নেতা আসাদ ওমর এবং ফাওয়াদ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ফাওয়াদ চৌধুরীকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে আটক করা হয়। এছাড়া, সেনাবাহিনী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে যাতে লোকজন সামাজিক মাধ্যম টুইটার, ফেইসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করতে না পারে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শাহ মেহমুদ কোরেশি তার টুইটার একাউন্ট থেকে দেয়া পোস্টে বলেছেন, পিটিআই দলের নেতাকর্মীদেরকে সহিংসতা সৃষ্টিকারী হিসেবে তুলে ধরার জন্য বাস্তব প্রোপাগান্ডা চলছে। এর বিপরীতে দেশের মানুষকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখতে হবে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতে যাওয়ার পথ থেকে আটক করে। আদালতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার কথা বলছেন পিটিআই নেতারা।#
342/