মারকাভা ট্যাংকে ব্যবহারের জন্য দখলদার ইসরাইলকে ৪৫ হাজার গোলা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য সময় নিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। কিন্তু গতকাল (শনিবার) মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, পররাষ্ট্র দপ্তর অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় জরুরি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ডলার মূল্যের ট্যাংকের গোলা সরবরাহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।
পেন্টাগনের বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কংগ্রেসের কাছে তার দপ্তরের পদক্ষেপের ন্যায্যতা বর্ণনা করে চিঠি দিয়েছেন এবং তাতে তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অতি দ্রুততার সঙ্গে ইসরাইলকে ট্যাংকের গোলা সরবরাহ করা দরকার।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইলের বোমা ও কামানের গোলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ১৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নারী ও শিশু। সারা বিশ্বে আমেরিকা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বললেও গাজার বেসামরিক জনগণ হত্যার ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে কিছুই বলছে না বরং এই বর্বর গণহত্যা চালানোর জন্য তারা যুদ্ধের শুরু থেকেই নানা ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করছে। শুধু তাই নয় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কয়েক দফা যুদ্ধবিরোধী প্রস্তাব তোলা হলেও আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে মার্কিন সরকারের মানবতাবোধ এবং মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো নিয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।#
342/