রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ওই মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা পার্সটুডে জানিয়েছে, মঞ্জুরুল করিম আরও বলেছেন: ইরান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন বেশ দৃঢ়। সুদূর অতীতেও ইরানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: ইরান একটি ধনী দেশ। কেবল সমৃদ্ধ তেল কিংবা খনিজ সম্পদের জন্যই নয় বরং দক্ষ মানব সম্পদের জন্যও ইরান সমৃদ্ধ একটি দেশ। এই সমৃদ্ধির কারণে এ অঞ্চলের অন্য কোনো দেশ ইরানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর্যায়ে নেই।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আগেও ইরানের ওপর মার্কিন সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার পূর্বে তেহরান ও ঢাকার মধ্যে ব্যাপক ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছিল। সেই হারানো পরিবেশ আবারও ফিরে আসবে বলে মি. মঞ্জুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেরমানশাহ'র ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে গুরুত্বের সঙ্গে বলেন: মূলত: কোনো দেশের সরকার ব্যবসা করে না বরং ব্যবসার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতেরই সম্পর্ক বেশি। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দু'দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত।
মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশকে প্রাচীন ইতিহাস, পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালনভূমি বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: ইরানি সংস্কৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশীদের মাঝে ভালো ধারণা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কেরমানশাহকে শিরি-ফরহাদের ঐতিহাসিক ঘটনার ভূমি হিসেবে জানে।
ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশের চেম্বার অব কমার্সের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী এবং মিনিস্টার কমার্স ড. জুলিয়া মইন সম্প্রতি ৩ দিনের সফরে কেরমানশাহ যান। চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তাসহ ওই প্রদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন। কেরমানশাহ'র অসংখ্য স্থাপনা পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানকার ফুড প্রসেসিং ফ্যাক্টরি এবং কার্পেট ফ্যাক্টরিও পরিদর্শন করেন তাঁরা।#
342/