গাজার জনগণের প্রতিরোধ মোকাবেলায় তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন হিজবুল্লাহ নেতা। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ মঙ্গলবার রাতে এবং আশুরায়ে হোসেইনির রাতে এসব কথা বলেন। যদি তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে তারা স্বেচ্ছায় গাজার সমর্থনে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন: আল-আকসা তুফান অভিযানের অন্যতম বরকত হলো সহায়ক ফ্রন্টগুলোর পারস্পরিক সংহতি। বিশেষ করে লেবানন, ইরাক এবং ইয়েমেনের ফ্রন্টগুলোর মাঝে ঐক্য ও সংহতি বড় রকমের অর্জন। এদের পেছনে আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে বিচ্ছিন্নতার উস্কানি দিয়ে এলেও কোনো ফল হয় নি। তাদের সেই তৎপরতা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব আরও বলেন: আশা করা যায় যে আল-আকসা তুফান অভিযানে বিজয়ের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্য আরও দৃঢ়তর হবে।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন: ১৯৪৮ সাল থেকে আমাদের অঞ্চলে যা ঘটেছে তা একটি বড় রকমের দুর্নীতি। পশ্চিমাদের মদদে ইহুদিবাদী শত্রুরা আরবদেরকে অপমানিত করেছে।
তিনি বলেন: শত্রুদের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন যে প্রতিষ্ঠার ৭০ বা ৮০ বছর পর ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক তথ্যপ্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে ইসরাইল এখন একটি স্পর্শকাতর পর্যায়ে রয়েছে।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব আরও বলেন: যারা বিশ্বাস করে যে ইসরাইল হলো একটা ক্যান্সারের টিউমার তাদের হাতে অবশ্যই অবৈধ এই সরকারের নির্মূল হওয়া উচিত। তাদের হাতে আল্লাহ এই অবৈধ দখলদার শক্তিকে শাস্তি দেবেন।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেছেন অবৈধ ইহুদিবাদী সরকার পতনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এদিকে তেল আবিবের কর্মকর্তারা যুদ্ধে তাদের পরাজয় এড়াতে প্রতিরোধ কমান্ডারদের হত্যা করার মিথ্যা সংবাদ প্রচারের আশ্রয় নিয়েছে।#
342/