জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ হতভাগ্য ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ইসরাইলি হামলায় আবাসিক ভবনগুলো চাপা পড়ে। এদের মধ্যে শতকরা ৪৪ ভাগ শিশু ও ২৬ ভাগ নারী। গাজায় নিশ্চিতভাবে নিহত শিশুদের বেশিরভাগের বয়স পাঁচ থেকে নয় বছর বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষরা গাজায় সবচেয়ে কম বয়সি যে শিশুর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বয়স ছিল মাত্র এক দিন। এছাড়া, সবচেয়ে বয়স্ক নিহত ব্যক্তি ছিলেন ৯৭ বছর বয়সি একজন নারী।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের একটি পদ্ধিতগত উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এই বিষয়ে যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মৌলিক নীতিগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ বিচারিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যথাযথ তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সেইসঙ্গে, এই সময়ে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা উচিত। পার্সটুডে
342/