‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
মঙ্গলবার

২৫ এপ্রিল ২০১৭

৫:৪৩:৩৫ AM
825829

নুসরা ফ্রন্টের শারয়ি বিচারকের খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ

সিরিয়ায় জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত নুসরা ফ্রন্টের সামরিক কমান্ডার ও শারয়ি বিচারক খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ করেছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: সিরিয়ায় জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত নুসরা ফ্রন্টের সামরিক কমান্ডার ও শারয়ি বিচারক জার্মানীর একটি গীর্জায় খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ করে পবিত্র পানি দ্বারা অভিসিঞ্চন বা পাপমোচন করেছে।

‘হাসসাম আবু হামযা’ নুসরা ফ্রন্টের সাথে বাইয়াত করার পর সন্ত্রাসী এ দলের সামরিক কমান্ডার ও শারয়ি বিচারকের পদে অধিষ্ঠিত হয়। নুসরার শীর্ষস্থানীয় এ সন্ত্রাসী দীর্ঘসময়ধরে ইরাক ও সিরিয়াতে বহু অপরাধকর্মের সাথে জড়িত। সে এর পূর্বে খ্রিষ্টানদেরকে মুরতাদ ও সন্ত্রাসী জ্ঞান করলেও নিজে এখন খ্রিষ্টান ধর্মের দিক্ষিত হয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে সিরিয়ার খ্রিষ্টান প্রধান এলাকাগুলো নুসরা ফ্রন্টের হত্যাযজ্ঞের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। এ সকল অঞ্চলে প্রবেশ করে এর বাসিন্দাদেরকে শিরোচ্ছেদ করেছে সন্ত্রাসী এ দলের সদস্যরা।

দায়েশ ও নুসরা সন্ত্রাসীরা সর্বদা খ্রিষ্টানদেরকে ধর্মচ্যুত ও মুশরিক জ্ঞান করতো এবং তাদেরকে হত্যা করা ও তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা ওয়াজিব-এ আইনি বলে মনে করে আসছে।

পবিত্র পানি দ্বারা অভিসিঞ্চন বা পাপমোচনঅনুষ্ঠানে ‘পৌল’ নামটি বেছে নেয় নুসরা’র শারয়ী বিচারক। এ সময় তার পাশে মিসরের মুনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাবিক স্ট্যাডিজ কলেজের সাবেক প্রধান ড. রাহুমাহকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি বহুবছর আগে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণের দাবী করে ইউরোপে শরণার্থী হয়েছেন।

হাসসাম জানিয়েছে, সারা জীবন ধরে সে খ্রিষ্টানদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে জানলেও আস্তে আস্তে সে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।

ইতিপূর্বে সে বিশ্বাস করতো যে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা সারা বিশ্বব্যাপী যে হত্যাযজ্ঞ, হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে খ্রিষ্টান ধর্ম সেগুলোকে সমর্থন করে –এ কথা উল্লেখ করে ঐ সন্ত্রাসী বলেছে: হযরত ঈসা (আ.) এর শিক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র এ সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আমি মনে করতাম, কেননা আমি কখনই বাইবেল পড়িনি।

প্রসঙ্গত, নুসরা ফ্রন্টের শারয়ি বিচারক ও সামরিক কমান্ডারের খ্রিষ্টান হওয়ার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।#