‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
রবিবার

৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

৪:১৮:১৪ PM
880690

আলী (আ.)-এর মাজারে আল-আযহারের শিক্ষকবৃন্দ (ছবি)

ইরাক সফরে হযরত আলী (আ.) এর মাজার যেয়ারত করেছেন মিসরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আলেমবৃন্দ।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): মিসরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও আলেম ইরাকের নাজাফে আশরাফ শহরে অবস্থিত আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) এর মাজার যেয়ারত শেষে মাজার পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেছেন।
সফরকারী ঐ দলে ড. ওয়ালিদ মাতারও ছিলেন। মাজারের গণসংযোগ বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন: নিঃসন্দেহে পবিত্র এ স্থানগুলোর যেয়ারত করতে পারার সৌভাগ্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ যা আমাদের নসিবে জুটেছে। পবিত্র মাজারগুলোর যেয়ারতে আসার ইচ্ছা আমাদের বহুদিনের। মহান আল্লাহ্ এ মাজারগুলোকে এমন এক দেশে স্থান দিয়েছেন যে দেশটিকে আমরা অত্যন্ত ভালবাসী।
আল-আযহারের এ বিশিষ্ট আলেম আরও বলেন: মহানবি (স.) এর পর সর্বোত্তম মানুষ অর্থাৎ ইমাম আলী (আ.) ও ইমাম হুসাইন (আ.)সহ অপর ইমামগণের মাজার ইরাকেই অবস্থিত। আমরা এসেছি পবিত্র এ স্থানগুলোর যেয়ারত করতে এবং আমাদের শিয়া ভাইদের সাথে সাক্ষাত করতে। কারণ তাদের সাথে আমাদের বিশেষ ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব রয়েছে।
মিসরের ভিজহাতুল হাক সংস্থার প্রধান ড. ইউসুফ রাওয়াব বলেন: ইমাম আলী (আ.) এর মাজার যেয়ারতে আসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও নাজাফের হাওযা ইলমিয়ার সম্মানিত মারজাগণের মাঝে দ্বিপাক্ষিক ও যৌথ সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো।
জনাব রাওয়াব বলেন: আয়াতুল্লাহ সিস্তানি যদি কিফায়ি জিহাদের ফতওয়া না দিতেন তবে আরব দেশগুলোর বেশিরভাগ রাজধানীই এখন দায়েশের দখলে থাকতো। এই ফতওয়ার বরকতে দায়েশ ধ্বংস হয়েছে এবং ইরাকের জনগণের মাঝে ঐক্য ও সংহতি মজবুত হয়েছে।#