২৯ আগস্ট ২০২৩ - ০৪:২৯
কোরআন পোড়ানো দেশগুলোকে ‘মোকাবিলা’ করার হুমকি দিলেন চেচেন প্রদেশের প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ার চেচেন প্রদেশের প্রেসিডেন্ট কোরআন পোড়ানো দেশগুলোকে ‘মোকাবিলা’ করার হুমকি দিয়েছেন। রামাজান কাদিরভ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতিকে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ ('ফিরে আসার পথ নেই' পর্যায়ে) নিয়ে যাচ্ছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): জনাব রামাজান কাদিরভ পশ্চিমে অসংখ্য কুরআন পোড়ানোর ঘটনাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থতার জন্য মুসলিম নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং ইউক্রেন সংঘাতের অবসানের পর অপরাধীদের "মোকাবিলা" করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার অঙ্গীকার করেছেন।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে কাদিরভ বলেছেন যে, 'ইউরোপে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের অবিরত অবমাননা মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি "অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ" তৈরি করেছে এবং এ স্টান্টগুলো পরিস্হিতিকে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ  নিয়ে যাচ্ছে।"

“এরকম সময়ে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নেতারা কোথায়? কেন তারা আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের পবিত্রতাকে প্রকাশ্যে অপমান করতে দিচ্ছে? কেন মুসলমান ও ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার জন্য কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না? তারা কি সত্যিই আল্লাহর ক্রোধের চেয়ে  আমেরিকান ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাকে বেশি ভয় করে?"

"আজ, রাশিয়া ইউক্রেনে পশ্চিমাদের আক্রমনাত্মক নাস্তিক উপনিবেশবাদী নীতির বিরুদ্ধে একাই  যুদ্ধ করছে এবং একই সময়ে যুদ্ধ করছে আমাদের পবিত্র মূল্যবোধগুলো রক্ষার জন্য।"

“আমি (রাশিয়ার)  জয়ের বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত। আমরা যখন ইউক্রেনের সাথে শেষ করব, তখন আমরা সেই সব দেশে যাব যারা কুরআনকে অপমান করেছে। কাদিরভ উল্লেখ করেন যে, রাশিয়ায় অনেক মুসলমান আছে যারা ঘটনাগুলিকে উপেক্ষা করে বসে থাকবে না।"

তিনি মনে করিয়ে দেন যে, "প্রায় ১০ হাজার চেচেন যোদ্ধা এখন ইউক্রেনে কর্মরত রয়েছে এবং আরও ১৫ হাজার লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত আছে এবং আরো ত্রিশ, চল্লিশ, পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছে। আমাদের অস্ত্র আছে, ভারী যন্ত্রপাতি আছে... আমরা দেখাব [ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির] জেলেনস্কি যখন তার জাতিকে বিক্রি করে দেয় তখন কী হয় এবং যারা এই সব সমর্থন করে আমরা তাদেরকে আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখাব।"

কাদিরভ বলেন যে, "যদি শয়তানের দাসদের থামানো  না হয়, তাহলে আগামীকাল তারা আমাদের মসজিদে উপস্থিত হবে। তারা আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষা দেবে যে, প্রার্থনা ফ্যাশনসম্মত নয় এবং আমাদের জনগণকে একটি নাম-পরিচয়বিহীন ভোক্তায় পরিণত করবে, যাদের কাছে ডলার হয়ে উঠবে তাদের দেবতা।"

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে একের পর এক ডেনমার্ক এবং সুইডেনে প্রকাশ্য বিক্ষোভ দেখা গেছে, যেখানে মুসলমান বিরোধী তৎপর ব্যক্তিরা কুরআনের পবিত্রতা লংঘন  করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যদিও দুটি নর্ডিক দেশ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, তারা বলেছে যে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কারণে  তাদের প্রতিরোধ করতে পারেনি। যাইহোক, উল্টো চাপ এবং  নিরাপত্তা ঝুঁকির বৃদ্ধির মুখোমুখি হয়ে, কোপেনহেগেন এবং স্টকহোম উভয়ই সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোরআন পোড়ানোকে একটি "অপরাধ" এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে নিন্দা করেছেন।#176i

সূত্র: RT