১১ জুন ২০২৫ - ২১:৪৬
অমানবিক ও উদ্দেশ্যমূলক হামলা

গাজার ভোর ক্ষুধা দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় দীর্ঘ লাশের সারিতে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ক্ষুধা মেটাতে  আবারও ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল ৩৬ নিরীহ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন ২শ’র বেশি। জাতিসংঘ এই হামলাকে ‘অমানবিক ও উদ্দেশ্যমূলক’ বলেছে।


ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে খাদ্যের খোঁজে আসা  ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারান। আহত হন অনেকে। কয়েকদিন আগে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের একটি বিশাল ভিড়ের উপর গুলি চালায়; সেই মানুষগুলো শুধুমাত্র এক মুঠো খাবারের সন্ধানে ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দশ কিলোমিটারেরও বেশি পথ হেঁটে গাজার একমাত্র দৈনিক সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে পৌঁছেছিল, যা সম্প্রতি ইসরায়েলের সমর্থনে রাফাতে (GHF) নামে খোলা হয়েছিল। কিন্তু  (GHF)-এর কোনো কর্মকর্তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ফলস্বরূপ: খাদ্যের অভাবে নিহত ও কয়েক ডজন আহত। এই পরিকল্পনাটি আসলে একটি লোক-দেখানো বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়; এটি দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে সাহায্য ভালোভাবে গাজায় প্রবেশ করছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সেদিন মাত্র আটটি খাদ্য বোঝাই ট্রাক বিতরণ করা হয়েছিল। এই সংখ্যাটিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) পরিচালকের বক্তব্যের সাথে তুলনা করুন, যিনি প্রতিদিন গাজার চাহিদা ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক অনুমান করেছেন।

4378697.jpg

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ড্রোন আর ট্যাংক থেকে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। যদিও ইসরাইলের দাবি, তারা শুধু সতর্কতামূলক গুলি ছুঁড়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিল শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। তাদের হাতে কেবল খাবারের ব্যাগ ছিল।

غزه.jpg

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলমান খাদ্য সহায়তা ব্যবস্থা নিয়ে দিনে দিনে সমালোচনা বাড়ছে। এই ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, এই বিতরণ পদ্ধতি আন্তর্জাতিক সহায়তার নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় প্রবেশে মানুষকে বাধ্য করছে।

Your Comment

You are replying to: .
captcha