২১ আগস্ট ২০২৫ - ১৫:০৮
নতুন আগ্রাসনের জবাব হবে আরও প্রাণঘাতী

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, দেশটি এখন এমন উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকারী। যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শত্রুর নতুন আগ্রাসনের জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে প্রাণঘাতী, অপ্রত্যাশিত এবং হিসাবের বাইরের। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান শত্রুর দুর্বলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।



 জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস (২২ আগস্ট) উপলক্ষে তেহরানে নিযুক্ত বিদেশি সামরিক সংযুক্তদের এক বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাসিরজাদে।

তিনি ১২ দিনের ইসরায়েলি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্দে শহীদদের (বিশেষ করে কমান্ডার, বিজ্ঞানী, নারী, শিশু এবং নিরীহ মানুষের) স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ইরানের এই নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এখন দেশের নিরাপত্তা ও শক্তির অন্যতম মূল স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিল। এমনকি, পরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আগ্রাসনে অংশ নেয়। তিনি অভিযোগ করেন, যুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার একটি ধাপ চলার কথা থাকলেও, ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে একটি হামলা চালায়। এতে ইরানের একাধিক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী শহীদ হন।

নাসিরজাদে বলেন, ইসরায়েল ভেবেছিল-এই হামলা ইরানের সামরিক কাঠামো ভেঙে ফেলবে। কিন্তু ইরান দ্রুত ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানায়। ইরান পাল্টা হামলায় মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করে, এবং যুদ্ধের শেষ দিকে ইরানের মিসাইল আঘাতের সফলতা ৯০ শতাংশে পৌঁছে যায়।

তিনি জানান, এই যুদ্ধে ইরান প্রথমবারের মতো ফাত্তাহ, সিজ্জিল ও খাইবার শেকান মিসাইল ব্যবহার করে, যা যুদ্ধের সমীকরণ বদলে দেয়। প্রায় ১৫০টি নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা হয়। যার মধ্যে ছিল—ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি, গোয়েন্দা কেন্দ্র, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কমান্ড সেন্টার, মোসাদ সদর দপ্তর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha