আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায়, গাজা সিটির আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একজন শিশুসহ দুইজন নিহত হন এবং আহত ১৫ জনকে আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
পরে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
ওয়াদির বাবা ইসসাম বলেন, ‘মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল... কিন্তু ইসরায়েল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।’

গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায়, ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল-দারাজ স্কুলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে, আল-তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন এবং ইউনাইটেড নেশনস ওসার সহায়তায় উদ্ধারকর্মীরা আটকে পড়া বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। এই এলাকা এখনো ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকা এখনও ইসরায়েলি হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
Your Comment